বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন

News Headline :
ভারতে চিকিৎসা সেবায় সুযোগ সুবিধা প্রদানে যৌথ সভা  অবৈধভাবে চাল মজুদ রাখার অভিযােগে আবারো মিল মালিককে জরিমানা উন্নত মানের কম্বল পেয়ে খুশি দরিদ্র মানুষেরা এক হাজার দরিদ্র মানুষকে শীতবস্ত্র প্রদান করলেন বিজিএমিইএ’র সভাপতি প্রশাসনে বদলীর নির্দেশনায় ঠাকুরগাঁওয়ের চার ওসি, দুই ইউএনও জনপ্রিয় নেতা আলী আসলাম জুয়েলকে নৌকার মাঝি হিসেবে পেতে মড়িয়া ভোটাররা তারেক পাকিস্তান থেকে লোক পাঠিয়ে নৈরাজ্য চালাচ্ছে শান্তি সমাবেশে -যুবলীগ নেতা জুয়েল ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতায় ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্পেইন টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ সাংবাদিক আইনুলের লজ্জা থাকলে আ’লীগে যোগ দিন বিএনপির উদ্দেশ্যে যুবলীগ নেতা-আলী আসলাম জুয়েল

করোনা: বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা ‘কানে নেয়নি’ ভারত

নিউজ ডেস্কঃ বিজ্ঞানীদের একটি প্যানেল করোনার নতুন ও অতি সংক্রামক একটি ধরনের প্রকোপ নিয়ে মার্চের গোড়ার দিকে সতর্ক করে দিলেও ভারতীয় সরকার তাতে কান দেয়নি।

পাঁচ বিজ্ঞানীর বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। তারা বলেন, সতর্ক করা সত্ত্বেও ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করতে চায়নি কেন্দ্রীয় সরকার।

এতে লাখ লাখ লোক কোনো স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ধর্মীয় উৎসব ও রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে হাজার হাজার কৃষক দিল্লির উপকণ্ঠে তাঁবু গেড়ে সরকারের কৃষি নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।

মার্চের শুরুর দিকে ভারতীয় সার্স-কভ-২ জেনেটিকস কনসোর্টিয়াম বা আইএনএসএসিওজি সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি রিপোর্ট করেন এমন কর্মকর্তাদের কাছে এই সতর্কবার্তা পৌঁছানো হয়েছিল।

তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এসব তথ্যউপাত্ত পৌঁছানো হয়েছিল কিনা; তা নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টাদের ফোরাম আইএনএসএসিওজি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। মূলত জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি করোনার জেনোমের বিভিন্ন ধরন শনাক্ত করতেই এই ফোরামের গঠন করা হয়েছিল।

তারা প্রথমে বি.১.৬১৭ ধরনটি শনাক্ত করে, যা বর্তমানে করোনার ভারতীয় ধরন নামে পরিচিত।

ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ধরনটি শনাক্ত করে ১০ মার্চের আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের (এনসিডিসি) কাছে তথ্য পৌঁছে দেয় তারা।

বিজ্ঞানীরা তখন বলেন, খুব দ্রুতই করোনার এই ধরন দেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

সরকার কেন সতর্কবার্তার প্রতি জোর দেয়নি জানতে চাইলে আইএনএসএসিওজির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা গ্রুপের প্রধান শাহিদ জামিল বলেন, সরকার যখন নীতি নির্ধারণ করছে, তখন এসব তথ্যউপাত্তে তারা যথেষ্ট নজর না দেওয়ায় আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম। নীতি নির্ধারণ অবশ্যই তথ্যউপাত্তের ওপর ভিত্তি করে করতে হবে, অন্য কোনোভাবে করার সুযোগ নেই।

এই বিজ্ঞানী বলেন, আমি খুবই হতাশ যে, নীতি নির্ধারণে বিজ্ঞানকে হিসাবে নেওয়া হয়নি। আমি জানি, কোথায় আমার এখতিয়ারের শেষ সীমা। একজন বিজ্ঞানী কেবল তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেন, নীতি নির্ধারণ তো সরকারের কাজ।

Please Share This Post in Your Social Media

© News Net 24 BD All rights reserved 2019
Design & Developed BY Hostitbd.Com