কবিরুল ইসলাম কবির হরিপুর(ঠাকুরগাঁও) : ঠাকুরগাঁওয়ের উপজেলার চাপধা ঈদ গাহ নির্মাণে সরকারি পুকুর হতে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি পুকুরে বালুড্রেজার ম্যাশিন বসিয়ে ১ মাস যাবত বালু উত্তোলন করছে৷সাবেক আর্মি রকিম ও প্রফেসর সুয়েল বালু উত্তোলন করে ইদগাহ নির্মানের নামে বালুগুলো বিক্রি করছে৷
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে হরিপুর উপজেলার ৩ নং বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা গ্রামের চাপধা পুকুর হতে বালু উত্তোলন করা হয়৷
সরকারী পুকুরের বালু কেনো উত্তোলন করা হচ্ছে জানতে চাইলে সোহেল বলেন, আমি একাই কেনো তুলব এটা তো ঈদগাহ জন্য তোলা হয়েছে৷ চাপধা ঈদগাহ কমিটি তো নাই মসজিদ কমিটি সভাপতি রকিম আর্মি সব কিছু বলতে পারবে৷বালু উত্তোলনের বিষয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ হয়েছিল৷ এই বিষয়টা সবাই জানে৷ আজ আমরা ইউএনও অফিসে বসছিলাম৷বর্ষা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিল ৷ এক সাথে বসে সব ঠিক করেছি৷আমি হচ্ছি এর হেড৷ সোহেল বলে সরকারি পুকুরটি আমার নামেই লিজ আছে৷বালু উত্তোলন করলে কোনো সমস্যা নাই৷ এতে আরো মাছের জন্য ভালো৷ আপনি ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেন৷ চাবধা মসজিদ কমিটির (সাবেক আর্মি) রকিম উদ্দিন বালু উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করেন ৷ ঈদগাহ উন্নয়নের জন্য বালু উত্তোলন করা হয়েছে৷ বিষয়টি ইউএনওর নলেজে দেওয়া আছে৷ বালু উত্তোলনের অনুমতি আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হ্যাঁ দিয়েছে ।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক গ্রামবাসীরা বলেন,আমরা এই পুকুর পারে প্রায় ৪৭ টি পরিবার বসবাস করি৷ ঈদগাহ নির্মাণের নামে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে ৷ রুহিয়া গ্রামের মৃত সহিম উদ্দিনের ছেলে সোহেল ও মসজিদ কমিটির সভাপতি চানমোহাম্মদের ছেলে রকিম উদ্দিন (সাবেক আর্মি) পুকুরে যেভাবে বালু উত্তোলন শুরু করছে অল্প কিছু দিনের মধ্যে পুকুরের পারে বাড়ি গুলো ভেঙ্গে পুকুরে তলিয়ে যাবে৷আমরা এর প্রতিকার চাই৷
এ প্রসঙ্গে হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই বালু দিয়ে আমি ঘর বানাবো।