নিউজ ডেস্ক: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দেশটির এলিট সশস্ত্র বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডকে (আইআরজিসি) আরও আধুনিক ও বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। আঞ্চলিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে তিনি এমন নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির আধা সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম।
রাজধানী তেহরানে ইমাম হুসেইন সামরিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দেয়া এক বক্তৃতায় আইআরজিসির উদ্দেশে খামেনি বলেন, ‘বাহিনীকে অবশ্যই আরও উন্নত, আধুনিক ও বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করতে হবে। আপনাদের অস্ত্র হতে হবে অত্যাধুনিক। অস্ত্রের আধুনিকায়ন ও নিজের অস্ত্র নিজেরাই তৈরি করতে হবে।’
গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের দুটি বৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি প্রকাশ্যে ইরানকে দায়ী করে বিবৃতি দেয়ার পর উপসাগরে উত্তেজনা বেড়েছে। এছাড়া ওয়াশিংটনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত উত্তেজনা বেড়েই চলেছে তেহরানের।
তবে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর এই দাবি প্রত্যাখান করেছে ইরান। খামেনি তার বক্তৃতায় আরও বলেন, ‘বর্তমানে ইরানের অভ্যন্তরে ও বাইরে বাহিনীর (আইআরজিসি) শক্ত উপস্থিতি আছে। যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব বাহিনীর এই শক্তি-সামর্থ দিন দিন বৃদ্ধি করেছে।’
এদিকে সৌদি আরবে অতিরিক্ত আরও ৩ হাজার সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যার মধ্যে যুদ্ধ স্কোয়াড্রন, একটি আকাশ অভিযান দলসহ একটি আকাশ প্রতিরক্ষা কমান্ডও রয়েছে। দীর্ঘেদিনের শত্রু ইরানকে মোকাবিলায় মার্কিন সেনাদের দেশে মোতায়েনের অনুমতি দিচ্ছে সৌদি।
গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে ছয় জাতির পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে তেহরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর এই উত্তেজনা চরমে ওঠে। এছাড়া এর নেপথ্যে রয়েছে গত কয়েক মাসে উপসাগরে ট্যাঙ্কার হামলার ঘটনাও।