নিউজ ডেস্কঃ বসানো হলো সর্বশেষ ৪১তম স্প্যান। দৃশ্যমান হলো পুরো ৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মাসেতু। এর আগে বুধবার (৯ ডিসেম্বর) মাওয়ার কুমারভোগ ইয়ার্ডে সাজিয়ে তোলা হয় স্বপ্নের সেতুর সবশেষ স্প্যানটি। চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি করছে সেতুর কাজ। স্প্যানের দুই পাশে তাই বাংলাদেশ ও চীনের জাতীয় পতাকা সেটে দেওয়া হয়। দুদেশের সুসর্ম্পকের কথা উল্লেখ করা হয় বড় একটি অংশ জুড়ে। স্প্যানের গায়ে লিখে রাখা হয়, যে শ্রমিকদের শ্রমে-ঘামে কাজের এত অগ্রগতি, তাদের কীর্তিগাথা। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে ইয়ার্ড থেকে রওনা হয় ক্রেনবাহী জাহাজ। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে খুঁটির কাছে পৌঁছায় জাহাজটি।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। এর পর একে একে নানা বাধা পেরিয়ে ও নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তিন বছর দুই মাস ১০ দিনে সেতুর সবগুলো স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হলো।
এখনও সেতুর আরও কিছু কাজ বাকি আছে। যেমন- রোডওয়ে স্ল্যাব, রেলওয়ে স্ল্যাব, সুপার-টি গার্ডার বসানো। স্ল্যাবের উপর পিচ ঢালাইয়ের কাজ, আলোকসজ্জা, ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজও বাকি আছে। সব মিলিয়ে যান চলাচলের জন্য সেতু উন্মুক্ত করতে আরও এক বছর লাগতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মূল সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৯১ ভাগ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ৩৮ ভাগ। মূল সেতু কাজের চুক্তিমূল্য ১২ হাজার ১৩৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা এবং এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ৭২৩ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা। নদীশাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৭৫ দশমিক ৫০ ভাগ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৬৫ দশমিক ১৭ ভাগ। নদীশাসন কাজের চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৭০৭ দশমিক ৮১ কোটি টাকা এবং এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৫ হাজার ৬৭৪ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা।