নিউজ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ে প্রেমিকের বাসায় অনশন করে দেড় মাস পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন দুলালী রানী ও তাপস বর্মন যুগলের। বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুর বানিয়া পাড়ায় স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাপস বর্মনের সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে সম্পন্ন করে উভয়ের পরিবার। দুলালী রানীর বাবা অখিল বর্মন সকলের সহযোগিতা ও সুবিচার পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুর বানিয়া পাড়া গ্রামের অখিল চন্দ্র বর্মনের মেয়ে দুলালী রানী গড়েয়া ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
একই গ্রামের পরেশ চন্দ্র বর্মন ছেলে দিনাজপুর পলিটেকনিক্যাল কলেজে পড়ুয়া তাপস চন্দ্র বর্মনের সাথে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে । বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে দুলালীকে দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে শারীরিক ও দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে ছেলে বাবা পরেশ চন্দ্র বর্মন তাদের বিষয়টি মানতে অস্বীকার করেন। পরে দুলালী রানী বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে গড়েয়ায় একটি ক্লিনিকে সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ভাগ্য ক্রমে বেঁচে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলের বাবা তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি থাকলেও পরবর্তীতে তা আবারো অস্বীকার করেন।
এ অবস্থায় দুলালীর বাবা গড়েয়া স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল ইসলাম শাহ (রেদো) অভিযুক্ত তাপসকে হাজির করার জন্য তার পরিবারকে চাপ দিলেও হাজির করতে পারেননি। বিষয়টি দুলালী জানতে পারে গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে তাপসের বাড়িতে গিয়ে আমরন অনশন শুরু করে। অনশনের কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও কোন সমাধান না হওয়ায় দুলালী রানীর পরিবার থানায় মামলা করা সিদ্ধান্ত নেয় । পরবর্তিতে মামলার ভয়ে পরিবার তার ছেলে সাথে বিয়ে দিতে রাজি হয়। সবশেষে ঢাক ঢোল পিটিয়ে গতকাল রাতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাসহ গড়েয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মাজেদুর রহমান বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল ইসলাম শাহ (রেদো) জানান, সরকার নতুন করে আইন করায় এ ধরনের ঘটনার সমাধান হচ্ছে পারিবারিক ভাবেই। আমরাও চাই কেউ যেন অন্যায় কাজ করে পার না পায়। নব দম্পতির পরিবারিক জীবন সুখময় হোক একাই আমাদের কামনা।