নিউজ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁও শহরের প্রাণ কেন্দ্র চৌরাস্তায় রাতের আধারে অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করেছে মিজানুর রহমান নামে এক ব্যাক্তি। অভিযোগ পেয়ে পৌর প্রশাসন দোকান ঘরটি অপসারণের নির্দেশ দিলেও গাঁয়ের জোরে দিব্বি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর আশপাশের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন মিজানুর কৌশলে জায়গাটি দখলের পর অনেককেই টাকা দিয়েছে যেন ঘরটি অপসারণ করতে না হয়। আমরা চাই অবৈধভাবে দখলি দোকান দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ করবেন প্রশাসন। তা না হলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভে পরিনত হবে।
জানা গেছে, শহরের নিউ মার্কেটে বরাদ্দকৃত দোকানের মালিক আবুল বাসারের কাছে ২০১৫ ইং সালে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ৩ বছরের জন্য ভাড়া নেয়। তিন বছর মেয়াদ শেষ হলেও সময়মত দোকানটি ছেড়ে না দিয়ে সামনের বারাদ্দায় রাতের আধারে কৌশলে দোকান ঘর নির্মাণ করেন। পরে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন আবুল বসার। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পৌর কর্তৃপক্ষ নিউ মার্কেটে অবৈধ দখল দোকান ঘরটি গত ৩ আগষ্টের মধ্যে অপসারনে নির্দেশ দিলেও তা এখনো অপসারণ করা হয়নি। গাঁয়ের জোর আর টাকা দিয়ে বেশকিছু লোকদের ম্যানেজ করেছেন বলে অভিযোগ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের। অবৈধ দোকান ঘরটি নির্মানের ফলে নিউ মার্কেটে প্রবেশ রাস্তায় জনসাধারনের চলাচলে বিঘ্ন ঘটার কথা উল্লেখ করে পৌর কর্তৃপক্ষের লিখিত আদেশ শুধু কাগজে কলমে রয়ে গেছে। অবিলম্বে অবৈধভাবে নির্মিত দোকান ঘরটি অপসারনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
আবুল বাসার জানান, মিজানুর রহমান আমার কাছে দোকান ভাড়া চুক্তি করে সামনের জায়গাটি দখল করেছে। সামনের জায়গাটি ফাঁকা ছিল আমার দোকানের মালামাল সেখানে রাখা হতো। আমি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছি আশা করছি তারা ব্যবস্থা নিবেন।
মিজানুর রহমান জানান, আমি ভাড়া করা দোকান ছেড়ে দিয়েছি। সামনে ফাঁকা ছিল সেখানে আমি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। পৌরসভা চাইলেই উচ্ছেদ করতে পারবে না। পরবর্তিতে আমি পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি তারা আর পরবর্তি নির্দেশনা দেন নি।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর ইসলাম নুরু জানান, আবুল বাসারকে মিজানুর রহমান দোকান ঘর বুঝে দিয়েছেন। তবে যে দোকান ঘরটির বিরুদ্ধে অভিযোগ তা পৌর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ব্যবস্থা নেয়া হবে।