করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সামাল দিতে ফ্যাভিপিরাভির ৫০ জন করোনা রোগীর ওপর ট্রায়াল করা হয়েছে। ওষুধ প্রয়োগের ৪ দিনের মাথায় ৪৮ শতাংশ এবং ১০ দিনের মাথায় ৯৬ শতাংশ করোনা মুক্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানি বিকন ফার্মাসিটিক্যালস। বুধবার (৮ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিকন ফার্মাসিটিক্যালস এ তথ্য জানায়। এ ওষুধ ব্যবহার করা সম্পর্কে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, যেহেতু করোনার সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ আসেনি সে হিসেবে ফ্যাভিপিরাভির ব্যবহার করা যেতে পারে, আমি কিছু রোগীর ওপর প্রয়োগ করেছি, কার্যকর মনে হয়েছে। তবে শুধু ৫০ জনের ট্রায়ালে ভরসা করা মুশকিল। কোনোভাবেই এ ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বিক্রি ও প্রয়োগ করা ঠিক হবে না। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ বি এম আবদুল্লাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর পূর্বে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের চেয়ারম্যান ও ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে তিনি একুশে পদক পান এবং ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে ৩ বন্দুক হামলা, হতাহত বেশ কয়েকজন ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য ব্যবহৃত জাপানি ওষুধ ‘ফ্যাভিপিরাভির’ করোনা ভাইরাস নিরাময়ে কার্যকর বলে জানিয়েছে চীনের মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। জাপানে তৈরি ওষুধটির ব্র্যান্ডনেম ‘অ্যাভিগন’ এবং জেনেরিক নেম ‘ফ্যাভিপিরাভির’। ওষুধটির প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফুজি ফিল্মের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান তয়োমা কেমিক্যাল ২০১৪ সালে এটি উদ্ভাবন করে। এটি সচরাচর ব্যবহার হয় আরএনএ ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসায়। তবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় এই ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেন চীনের গবেষকরা। ‘ফ্যাভিপিরাভির’ ওষুধটি উহান এবং শেনজেনে ৩৪০ জন করোনা রোগীর ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে উৎসাহজনক ফলাফল দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, শেনজেনে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের এ ওষুধ দেয়ার চারদিনের মধ্যেবর্তী সময়ে তাদের করোনা নেগেটিভ হতে শুরু করে।