নিউজ ডেস্কঃ দেশে যে পরিমাণ আক্রান্তের সংখ্যা দেখা যাচ্ছে তার চেয়ে অধিক মানুষ করোনা থেকে সেরে উঠেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ড. বিজন কুমার শীল। এছাড়াও ঢাকার অনেক মানুষের শরীরে অ্যান্টবডি চলে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।সম্প্রতি দেশের একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞানী ড. বিজন।
তিনি বলেছেন, আমার মনে হয়, আমরা ইতোমধ্যে করোনার পিক টাইমে চলে এসেছি কিংবা কাছাকাছি এসেছি। আমার যেটা অভিজ্ঞতা হয়েছে, আপনারা যে পরিমাণ আক্রান্ত দেখেছেন, তার চেয়ে অধিক মানুষ কিন্তু (করোনা থেকে) সেরে উঠেছেন এবং তারা তা জানেন না। তাদের কোনো আইডিয়াই নেই। হয়তো তাদের একটু গা ব্যথা করেছে, হালকা জ্বর হয়েছে, একটু কাশি হয়েছে বা একটু পেটে সমস্যা হয়েছে ইত্যাদি। কিন্তু তারা এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
তিনি আরও বলেছেন, যাদের মধ্যে অ্যান্টিবডি (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) এসে গেছে, তারা কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বন্ধ করে দিতে পারে। কারণ তাদের ভেতরে ভাইরাস গ্রো করতে (টিকতে বা বেড়ে উঠতে) পারবে না। ভাইরাস যখনই গ্রো করতে না পারবে, তখন ভাইরাসের পরিমাণ কমে আসবে। যখনই কমে আসবে, তখনই মানুষ আর আক্রান্ত হবে না। এটা খুব দ্রুত কমে যাবে। কারণ, ঢাকা শহরেই অনেক মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি চলে এসেছে, তারা এই ভাইরাসকে তৈরি হতে আর সাহায্য করবে না। সঙ্গত কারণেই তখন ভাইরাসের প্রকোপ কমে যাবে এবং আমরা সবাই তখন এর থেকে পরিত্রাণ পাব।
এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০৯৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯০ হাজার ৬১৯ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২০৯ জনে।
সোমবার (১৫ জুন) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৫ হাজার ৭৩৩ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৩৮ টি নমুনা। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ লাখ ১৯ হাজার ৫০৩ টি। নতুন নমুনায় ৩০৯৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৯০ হাজার ৬১৯ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১২০৯ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা জয় করে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন অনেক মানুষ। যাদের মধ্যে হাসপাতালে থাকা এবং বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেয়া উভয় ধরনের মানুুষ রয়েছেন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৩৪০২৭ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানান ডা. নাসিমা সুলতানা।