নিউজ ডেস্কঃ ঈদের আগে ট্রেন চালানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে নির্দেশনা পেলে যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালানো যায় সে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী। মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী পরিবহন, শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রিসহ প্রতিটি ট্রেন ও স্টেশনে জীবাণুনাশকের ব্যবস্থা করা হবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন নিয়ে সন্দিহান খোদ রেল কর্মকর্তারাই।
হাজারও মানুষের পদচারনায় মুখর কর্মব্যস্ত কমলাপুর রেলস্টেশন এখন অনেকটাই অচেনা। ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে দেড়মাস। যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ থাকলেও সীমিত আকারে চলছে পণ্যবাহী ট্রেন। এখনই যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনার কোন পরিকল্পনা নেই জানিয়ে রেলপথমন্ত্রী বলেন, পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহনের প্রস্তুতি রয়েছে রেলের।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা এখনও আসেনি। যখন আসবে তখন সেগুলো আমরা মানবো। ট্রেনতো সবই প্রস্তুত আছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন বলেন, জাতীয় কমিটি থেকে যে নির্দেশনাগুলো আছে সেগুলো সব মানার চেষ্টা করা হবে।
সীমিত কয়েকটি ট্রেন চালু করা হতে পারে, যার টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে। এক সিট ফাঁকা রেখে যাত্রী বসা, প্রতিটি স্টেশনে তাপমাত্রা পরীক্ষাসহ নানা প্রস্তুতি নিয়েছে রেলওয়ের, তবে কর্মকর্তারা বলছেন ট্রেন চলাচল শুরু হলে স্বাস্থ্যবিধি মানা প্রায় অসম্ভব।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, নির্দেশনায় যা বলা আছে সেগুলো মানার চেষ্টা করব।
প্রতিদিন ৯৪টি আন্তঃনগর ট্রেন বিভিন্ন রুটে চলাচল করে।