• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম

করোনায় ঠাকুরগাঁওয়ে লোকসানে বন্ধ হচ্ছে মুরগী খামার তথ্য নেই প্রাণীসম্পদের কাছে

সাংবাদিকের নাম / ৩৯ জন দেখেছেন
আপডেট : মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ করোনার কবলে পরে ঠাকুরগাঁওয়ের মুরগীর খামারিদের অনেকেই এখন পথে বসেছে। শুধু করোনা দূযোর্গের সময় বন্ধ হয়ে গেে জেলার শতাধিক খামার। খামারিদের অভিযোগ অন্যান্য সময়ে খোজ না নিলেও দুর্যোগকালিন সময়েও খোজ নেই প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের লোকজনের। আর প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ জানান আগে জীবন বাঁচুক সবকিছু তথ্য নিয়ে বসে থাকার সময় নেই।
উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। জেলাটি কৃষির উপড় নির্ভরশীল বলেই এ অঞ্চলে হাঁস, মুরগী, গরু-ছাগল লালন পালনে বেশ ভুমিকা রাখে খামারীরা। তবে সময়ের পেক্ষাপটে কখনো লাভ আবার কখনো লোকসান গুনতে হয় তাদের। তবে এবার করোনার থাবায় মূহুর্তেই নিঃশেষ হয়েছে জেলার অনেক খামারী। করোনার শুরুর দিকে হঠাৎ করে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পরে তারা। বাধ্য হয়ে ব্রয়লার মুরগী ৫৫-৬০, পাকিস্তানী-১শ ও দেশী ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি করে। আর ডিম বিক্রি করতে হয়েছে ২০টাকা হালা দরে। এতে ধারাবাহিকভাবে লোকসানে পরে তারা। ধীরে ধীরে খামার শুণ্য হয়ে যায়। নতুন করে আর খামারে মুরগী লালন পালনে কোন উদ্যোগ নেই তাদের।
সদর উপজেলার গড়েয়া, চিলারং, সালন্দর এলাকা জয়নাল আলী, সফিকুল ইসলাম, কিসমত আলীসহ বেশ কয়েকজন খামারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঋণ মহাজন করে মুরগী লালন পালন করি। আর খামারের পিছনে প্রতিদিন শ্রমিকরাও কাজ করে। কিন্তু হঠাৎ করে করোনায় পরে লেঅকসানের উপড় লোকসান গুনতে হয়েছে। বেকার হয়ে পরেছে অনেক শ্রমিক। কমদামে মুরগী ও ডিম বিক্রী করে কমড় সোজা করা মুসকিল। জেলার অনেক খামার মালিক এখন পথে বসেছে। অর্থ সংকটে পুনরায় খামার চালু করা মুসকিল হবে। এতো কিছুর পরেও প্রাণী সম্পদ অফিসের কোন লোকজন খোজ নিতে আসেনি। আগে থেকেই তারা মাঠে আসেন না। হয়তো ২ বছরে একবার আসতো। এখন এ দুর্যোগে আরো নাই তারা। আমাদের সহায়তা না করুক পরামর্শ পর্যন্ত দিতে আসেনি তারা। আমাদের জানা মতে এর মধ্যেই নতুন করে এক’শ খামার বন্ধ হয়েছে গেছে।
জেলার খামার সংশ্লিস্টরা জানান জেলায় প্রায় ১১টি মুরগীর খামারের মধ্যে লোকসানে পরে ৪-৫ খামার বন্ধ হয়েছে আগেই। আর করোনা দূযোর্গে পরে আরো শতাধিক খামার বন্ধ হয়েছে।
জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে বর্তমানে ৭শতাধিক মুরগীর খামার রয়েছে। আর এ থেকে বাৎসরিক মুরগী উৎপাদন হয় ৪০ লাখ ২২ হাজার ৯৯১ টি। যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। আর ডিম উৎপাদন হয় প্রায় ১৮ কোটি।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আলতাফ হোসেন জানান, কতগুলো খামার বন্ধ হয়েছে তার হিসেব আমাদের কাছে নেই। খামার কতগুলো আছে, উৎপাদন যা দেয়া হয়েছে সেই তথ্যই রয়েছে। আমরা সব তথ্য নিয়ে বসে নেই বলে জানান তিনি। খামার বন্ধের তথ্য না থাকলে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খামারীদের সহায়তা ও স্বল্প সুদে ঋণ দিতে সরকারের প্রতি আহবানও জানান তিনি।


এধরনের আরও সংবাদ

Editor: Ataur Rahman
News editor : Joherul Islam
email: newsnat24@gmail.com
Phone: 01717253362, 01744367842
N.C Road, Thakurgaon.