নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বাংলাদেশেও আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৭৯০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৭১৯ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮৬ জনে।বুববার (৬ মে) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৫ মে) দেশে রেকর্ড সংখ্যক ৭৮৬ জন করোনা রোগী শনাক্তের কথা জানানো হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনলাইন বুলেটিনে। এছাড়া আরও একজনের মৃত্যুর খবরও জানানো হয়। সেই সঙ্গে জানানো হয়, আরও ১৯৩ জন সুস্থ হয়েছেন।
ডিসেম্বরে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে বেশিরভাগ দেশই ভাইরাসটিতে তেমন পাত্তা দেয়নি। অনেক দেশই ধারণা করেছিল, এটি চীনা ভাইরাস এবং এর সংক্রমণ হয়তো ইউরোপ-আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়বে না। এজন্য সেখানকার দেশগুলো তেমন কোনো পদক্ষেপও নেয়নি। ফলও দিতে হচ্ছে তাদের। কারণ সংক্রমণ সংখ্যার দিক থেকে প্রথম দেশগুলোর তালিকার মাঝেই নেই চীন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনও অব্যাহত আছে।পঞ্চম দফায় সেই ছুটি বাড়ানো হয়েছে আগামী ৫ মে পর্যন্ত। তার আগেই আরেক দফা ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা এসেছে। যার প্রজ্ঞাপন এখনও জারি করা হয়নি। বলা হচ্ছে, এ দফায় ছুটি বাড়িয়ে ১৫ কিংবা ১৬ মে পর্যন্ত করা হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের পদক্ষেপ অনেকটা এ রকমই। তবে এর মাঝেও কিছু কিছু দেশ তাদের দেয়া লকডাউন কিছুটা শিথিল করছে। স্পেন, জার্মানি ও ভারত সেই পথে হেঁটেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিও তেমনটাই ভাবছে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার তথ্যানুযায়ী বুধবার (৬ মে) সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩৮ জন। এছাড়া এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩৭ লাখ ২৭ হাজার ৮০২ জনের শরীরে। এরইমধ্যে ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ লাখ ৪২ হাজার ৩৪৭ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৭ জন। এদের মধ্যে ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৯ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৪৯ হাজার ২৪৮ জনের অবস্থা গুরুতর।