নিউজ ডেস্কঃ গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫২ জনে দাঁড়াল। নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে সোমবার (২৭ এপ্রিল) এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
এর আগে রোববার দেশে করোনা ভাইরাসে শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়ায়। একই দিন ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল উহানে কোনো রোগী না থাকার ঘোষণা দেয় দেশটির কর্তৃপক্ষ।
ডিসেম্বরে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে বেশিরভাগ দেশই ভাইরাসটিতে তেমন পাত্তা দেয়নি। অনেক দেশই ধারণা করেছিল, এটি চীনা ভাইরাস এবং এর সংক্রমণ হয়তো ইউরোপ-আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়বে না। এজন্য সেখানকার দেশগুলো তেমন কোনো পদক্ষেপও নেয়নি। এর ফলও দিতে হচ্ছে তাদের। কারণ সংক্রমণ সংখ্যার দিক থেকে প্রথম দেশগুলোর তালিকার মাঝেই নেই চীন।
এতে সবচেয়ে টালমাটাল অবস্থা যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের মতো ইউরোপের দেশগুলোর। ভাইরাসটি ছড়াতে যখন শুরু করে তখন ট্রাম্প বলেছিলেন, এটা তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। তবে সেই সুর পাল্টাতে হয়েছে তাকে।
গেল কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, ভাইরাসের সংক্রমণের ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে মারা যেতে পারেন। তবে তার সেই অনুমানও ভেস্তে যাচ্ছে। দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে এখন ৬০ হাজার ছুঁইছুঁই।
তবে দক্ষিণ এশিয়ায় ভাইরাসটির সংক্রমণও এখনও কম বলে বিশ্লেষণ করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে দেড়শো কোটির দেশ ভারতে শনাক্তের সংখ্যা এখনও ৩০ হাজারের কম।
এদিকে ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে গবেষকরা এর ভ্যাকসিন ও ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা করে গেলেও এখনও পর্যন্ত তা অধরাই রয়েছে। তারা সম্ভাবনার কথা শোনালেও শঙ্কার কথাও জানাচ্ছেন অনেকে।
তবে সিঙ্গাপুরের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশ করা পরিসংখ্যান বলছে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে বেশিরভাগ জায়গায়ই কমবে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। ওই পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, মে মাসেই বেশিরভাগ সংক্রমণ কমে যাবে এবং জুলাইতে শতভাগ সংক্রমণ মুক্ত হবে বাংলাদেশ।