নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশে গেল ২৪ ঘণ্টায় ৪১৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে করোনা ভাইরাসে দেশে শনাক্তকৃত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪১৬জনে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে নতুন করে মারা গেছেন আরও ৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৫ জনে।
রোববার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডিসেম্বরে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে হুট করেই বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।
বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলে বাড়ানো হয় সতর্কতা। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য মার্চেই ব্যবস্থা নেয় বাংলাদেশ সরকার। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। পঞ্চম দফায় সেই ছুটি বাড়ানো হয়েছে আগামী ৫ মে পর্যন্ত।
শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের পদক্ষেপ অনেকটা এরকমই। তবে এর মাঝেও কিছু কিছু দেশ তাদের দেয়া লকডাউন কিছুটা শিথিল করছে। স্পেন, জার্মানি ও ভারত সেই পথে হেঁটেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিও তেমনটাই ভাবছে।
রোববার সকাল পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ লাখ ২১ হাজার ২০১ জনে দাঁড়িয়েছে। ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস রোববার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২ লাখ ৩ হাজার ২৮৯ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৯৪৩ জন। এদের মধ্যে ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৮০ জনের জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৫৭ হাজার ৮৬৩ জনের অবস্থা গুরুতর।