নিউজ ডেস্কঃ করোনায় অসহায়দের সাহায্যে ঠাকুরগাঁওয়ের শিশু মুক্তা মাটির ব্যাংকে জমানো টাকা দিলো ত্রাণ তহবিলে। আজ দুপুরে সে তার বাবার সাথে জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান সেলিমের হাতে মাটির ব্যাংকটি তুলে দেয়।
তার বাবা জানান, প্রিয়জনদের থেকে পাওয়া উপহার ও স্কুলের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে জমানো টাকা কর্মহীন, অসহায়, অসচ্ছল মানুষদের মাঝে উপহার হিসেবে দিয়েছে সে। মুক্তা স্থানীয় সেন্ট মাদার তেরেসা স্কুলের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী মোছা: মুক্তা আক্তার। মুক্তা আক্তার সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আব্দুল লতিফের মেয়ে।
স্কুল ছাত্রী মুক্তা জানায়, আমি টিভিতে দেখেছি গরীব মানুষরা অসহায়ভাবে দিন যাপন করছেন। তারা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। তাই আমি আমার ২ বছরের টিফিনের জমানো টাকা ও বিভিন্ন সময় উপহারের জমানো টাকা গরীব মানুষদের জন্য দিয়েছি। আমার ভাল লাগছে।
মুক্তার বাবা জানান, আমার মে টিভি দেখার সময় আমাকে জিঙ্গেস করে বাবা কত মানুষ না খেয়ে থাকছে। তুমি ওদেরকে কিছু দাও না। আমি তার উত্তরে ঠাট্টা করে বলি তুমি তো দুই বছর ধরে মাটির ব্যাংকে টাকা জমা করছো। তোমার ওখান থেকে দাও। ও তখনি বলে হ্যাঁ দিবো কিন্তু ওদেরকে কথায় পাবো। তখন আমি মেয়েকে বলি ডিসি সাহেবকে দিলে উনি দিয়ে দিবেন গরীব মানুষদের। এর পর থেকে বায়না চলো যাবো ব্যাংকটা দিতে। পরে সময় করে জেলা প্রশাসকের নিকট এসে তার হাত দিয়ে মাটির ব্যাংকটি উপহার হিসেবে প্রদান করিয়েছি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, মুক্তা হয়তো তার জমানো টাকা দিয়ে কাপড় কিনতো। হয়তো বা মা বাবার সাথে ঘুরতে যেত। কিন্তু তা না করে অসহায়দের সাহায্যে মাটির ব্যাংকটি আমাদেরকে দিয়েছে। যা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।