নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশে নতুন করে আরও ৩৯০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৭৭২ জনে। এছাড়া করোনা আকান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ১০ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২০ জনে।
বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ৩০৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৯০ জনের দেহে করেনা শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া আরও ১০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫ জন। মোট সুস্থ হযেছেন ৯২ জন।
করোনার সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে থাকলেও দুইদিন আগে বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দাবি করেছিলেন ইউরোপ আমেরিকার চেয়ে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি ভালো। এছাড়া অন্যান্য দেশে করোনার চিকিৎসায় যখন বারবার ভেন্টিলেটরের কথা উঠে আসছে তখন তিনি জানিয়েছিলেন, ভেন্টিলেটরে যাদের নেয়া হয় তাদের মারা যাওয়ার সংখ্যাই বেশি। ওই দিন তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভেন্টিলেটরে নেয়া ৯ জনের মধ্যে মারা গেছেন আট জন।
এদিকে ভাইরাসটির সংক্রমণে ইউরোপেও মৃত্যুর হার কমতে শুরু করেছে। বাড়ছে সুস্থতার হার। এজন্য অনেক দেশ লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। জার্মানিও এমন নিয়েছে এমন সিদ্ধান্ত। যদিও এতে ফল খারাপ হলে আগের মতোই কঠোর লকডাউনে ফেরার ঘোষণা দিয়েছে তারা। আক্রান্তের সংখ্যায় শুরুর দিকে থাকা দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিতেই মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম। তবে লকডাউন কিছুটা শিথিল করে আবারও পূর্বের অবস্থায় ফিরেছে স্পেন। শিথিল করার পর আক্রান্তের সংখ্যা আবারও বাড়তে শুরু করায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। প্রতিবেশী দেশ ভারতও লকডাউন শিথিল করেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও কিছুক্ষেত্রে এই শিথিলতা আরোপ করেছে দেশটি।
বুধবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার তথ্য অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪১ জন। এছাড়া এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ২৫ লাখ ৫৭ হাজার ১৮১ জনের শরীরে।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৪৪ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৬ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬ জন। এদের মধ্যে ১৬ লাখ ৩১ হাজার ৬১০ জনের জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৫৭ হাজার ২৪৫ জনের অবস্থা গুরুতর।
ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের। সেখানে ৮ লাখ ১৯ হাজার ১৬৪ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৪৫ হাজার ৩৪০ জন।
মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরে অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ২৮২ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫৭ জন।