নিউজ ডেক্সঃ সারা বছর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কম থাকলেও দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে ওঠার আগেই বাড়িয়ে দেয়া হয় দাম। ভারতের এমন কৌশলে ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন পেঁয়াজ চাষ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কৃষকরা সঠিক দাম ও উৎসাহিত হলে পেঁয়াজের এ সংকট হতো না। এ অবস্থায় দেশীয় পেঁয়াজ ও কৃষকদের বাঁচাতে উৎপাদিত মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি নিষিদ্ধের দাবি ব্যবসায়ীদের।
ছোট আকৃতির হলেও খেতে সুস্বাদু দেশীয় পেঁয়াজ। ডিসেম্বর থেকে মার্চ এবং মে থেকে জুন পর্যন্ত দু’দফায় চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রির জন্য পেঁয়াজ তোলে ফরিদপুর, শরিয়তপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ও পাবনাসহ বেশ কয়েকটি জেলার কৃষক। ঠিক তখনি বাজার ধরতে ভারত কমিয়ে দেয় পেঁয়াজের আমদানি মূল্য। এতে ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষকেরা।
এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের দেশীয় পেঁয়াজের যদি চাহিদা থাকতো, তহালে ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভর করতাম না। আমাদের দেশের পিঁয়াজ উৎপাদনের ভরা মৌসুম হচ্ছে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি। এ সময় যদি ভারতীয় পেঁয়াজ না আসে তাহলে কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাবে এবং পেঁয়াজ উৎপাদনে আগ্রহী হবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের কৌশলের কারণে ১৫ থেকে ২০ টাকায় নেমে আসে দেশীয় পেঁয়াজ।
কৃষকদের রক্ষায় দেশীয় মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি নিষিদ্ধের পাশাপাশি সংরক্ষাণাগার নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের চাক্তাই শিল্প সমিতির সহ-সভাপতি। তিনি মো. আবছার উদ্দীন বলেন, যখন দেশী ফসল আমাদের এখানে হয় তখন অন্তত তিন মাস ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখা উচিত। তাহলে আমাদের দেশের প্রান্তিক চাষিরা টাকা পাবে এবং টাকাটাও আমার দেশে থাকল।
কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নজরে বিষয়টি দেয়া হয়েছে বলে জানান চেম্বার নেতা।
চট্টগ্রামের চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক সৈয়দ ছগির আহমদ বলেন, দেশীয় কৃষকদের নিয়ে যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-কৃষি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে চেষ্টা করে তাহলে আমরা পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাব।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। ১৩ লাখ টন উৎপাদিত হয়। আর ৯ লাখ টন আমদানি করতে হয়।