নিউজ ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। ২ শতাধিক দেশে ছড়িয়েছে এ প্রাণঘাতী ভাইরাস। আর এ ভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশে দেশে চলছে লকডাউন। যার ফলে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। আর এ প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর ওপর।
বিবিসি ওব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব ব্যাংকের একটি তথ্য বলছে, করোনার কারণে অর্থনৈতিক মন্দা থেকে নিষ্কৃতি পাবে না এ অঞ্চলের প্রায় ২৪ মিলিয়ন (দুই কোটি ৪০ লাখ) মানুষ। তারা দরিদ্রতার শিকার হবে।
বিশ্ব ব্যাংক তার রিপোর্টে বলেছে, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতির ওপর যে প্রভাব পড়েছে, তাতে করে সব দেশই তাৎপর্যপূর্ণভাবে আক্রান্ত হবে। এতে করে যেসব পরিবারের জীবিকা শিল্প-কারখানার ওপর নির্ভরশীল, তারা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। এটা তাদের জন্য অশনিসঙ্কেত।
বিশ্ব ব্যাংক নির্দিষ্ট করে দিয়ে বলেছে, থাইল্যান্ডের পর্যটনখাত এবং ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোতে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়বে।
বিশ্বের শীর্ষ এ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যানুযায়ী, তাদের দৈনিক আয় সাড়ে পাঁচ মার্কিন ডলারের নিচে তারাই দরিদ্র।
করোনার করুণ দৃশ্যপট তুলে ধরে বিশ্ব ব্যাংকের আশঙ্কা, বিশ্বের প্রায় ৩৫ মিলিয়ন (সাড়ে তিন কোটি) মানুষ দরিদ্রতায় পতিত হবে। করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ২৫ মিলিয়নে।
বিশ্ব ব্যাংকের অনুমান, করোনাভাইরাসের কারণে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবদ্ধি ২ দশমিক ১ শতাংশ কমে যাবে।
এ অবস্থায় এ অঞ্চলের দেশগুলোকে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসাসমাগ্রী তৈরি কারখানা বর্ধিত করে তাতে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। একই সঙ্গে অসুস্থ থাকাকালীন কর্মীদের ভর্তুকি দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়েই চলেছে। একই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৮৫ হাজার ৭১২ জন। মারা গেছেন ৩৭ হাজার ৮১৪ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক লাখ ৬৫ হাজার ৬০৬ জন।