নিউজ ডেস্কঃ কুষ্টিয়ায় সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগে এক ঝালমুড়ি বিক্রেতা মারা গেছেন। সোমবার (৩০) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওই ব্যক্তিকে অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তিন দিনের সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই ব্যক্তিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
তার দেহে করানোভাইরাস সংক্রমণের জীবাণু আছে কিনা সেটা নিশ্চিত হতে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সিভিল সার্জন আরও জানান, মরদেহ নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে এবং আইইডিসিআসের নিয়মকানুন মেনে ওই ব্যক্তির মরদেহ দাফন সম্পন্ন করা হবে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মাঝবয়সী এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে তার পরিবারের সদস্যরা। তবে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকদের জানিয়েছে ওই ব্যক্তি (৪০) পেশায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা ছিলেন। শহরের চৌড়হাস সাহাপাড়া এলাকায় পরিবারে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। গত শুক্রবার তার সর্দি দেখা দেয়। এরপর কাশি ও শ্বাসকষ্ট হতে থাকে।
আজ সকালে শ্বাসকষ্ট বেশি হলে একপর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরে তারা হাসপাতালে নিয়ে আসেন জানান পরিবারের সদস্যরা।
ওই মৃত ব্যক্তির স্ত্রী জানান, বাসা থেকে হাসপাতালে নেয়ার পথে দুই থেকে তিনবার রক্ত বমিও করেছে সে।
তবে ওই মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাদের পরিবারে কোনো বিদেশি নেই।
মৃত ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস আছে কিনা সেটা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কয়েকজনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন জানান, ওই ব্যক্তির বাড়িতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নমুনার প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির বাড়িসহ তার পরিবারের সদস্যরা লকডাউনে থাকবেন।