বন্ধুরা
আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের বাধ্যতামূলক ঘরে থাকার কথা। গণপরিবহন বন্ধ। জরুরী চিকিৎসা ছাড়া অন্য চিকিৎসা সেবা বন্ধ। এই সময়ে ঘরে বসে দেশের যে কোন প্রান্তে বা আপনার এলাকায় কেউ অসুস্থ বোধ করতে পারেন। অসুস্থতায় কোন ব্যক্তি বা পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়তে পারেন স্বাভাবিক ভাবে বর্তমান বাস্তবতায়। তিনি বা তার পরিবার যেন অসহায়বোধ না করেন, তাই তাদের পাশে থাকতে চাই আমরা। শুনতে চাই তার, তাদের কথা। এই সংকটকালে কথা শোনার লোকেরও অভাব। হনলাইন স্বেচ্ছাসেবকরা কথা শোনে যদি মনে করেন, কারো কোন জরুরী চিকিৎসা প্রয়োজন, তাহলে ‘করোনায় তারুণ্যে’র সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাঁকে ব্যবস্থাপত্র দেয়ার চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনীয় ঔষধ, হাসপাতাল সেবা কিভাবে পাবেন, সেই তথ্য দেয়ার চেষ্টা থাকবে। সম্ভব হলে ঔষুধ, অ্যাম্বুলেন্সে,হাসপাতালের ব্যবস্থা করে দেয়ার চেষ্টা করবে ‘করোনায় তারুণ্য’। লকডাউন এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ অথবা বিশেষ ভাবে কারো খাবারের প্রয়োজন হলে আমরা সেটা সাধ্যমতো দেয়ার চেষ্টা করবো। পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী কোথাও দরকার হলে তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যোগাড় করে দেয়া যায় কিনা সেই চেষ্টাও থাকবে। এরই মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই সহায়তা দিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা মেনে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক, চিকিৎসকরা ঘরে বসেই হটলাইন সেবা দিবেন নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। খাবার, ঔষুধ, পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী পৌঁছে দেবার বেলাতেও সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
আমাদের মূল লক্ষ্য এই সংকটের সময়ে আমরা কেউ যেন নিজেকে, নিজেদের নি:সঙ্গ না ভাবি। সবাই সম্মিলিত ভাবে এই লড়াইয়ে জয়ী হতে চাই। আপনি সঙ্গী হলে আমরা আরো সাহসী হবো।