নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তি পেয়ে তিনি গুলশানের বাসায় (ফিরোজ) যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে বিকেল ৪টার দিকে মুক্তি পান তিনি।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে যান।
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের আবেদনের ফাইলে সকালে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে কারা অধিদফতরে পাঠানো হয়। কারা অধিদপ্তর তাদের নিয়ম অনুযায়ী মুক্তির ব্যবস্থা করে।
কারা সূত্র জানায়, সাজা বাতিলের ফাইলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যায়। সেখানে স্বরাষ্ট্র সচিবের স্বাক্ষরের পর কারা অধিদফতরে যায়। কারা অধিদফতর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করে। সেই কাগজ নিয়ে বিএসএমএমইউতে গিয়ে খালেদাকে মুক্তির ব্যবস্থা করেন জেল সুপার।
এদিকে মুক্তির শর্ত হিসেবে বাসায় অবস্থান করতে হবে খালেদা জিয়াকে। চিকিৎসা নিতে হবে দেশেই। সাজা মওকুফকালীন ছয় মাস তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ করেই ডাকা সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়াকে মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুই শর্তে তাকে মুক্তি দেয়ার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না- এমন শর্তে তাকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দণ্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।