নিউজ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরাজিত শক্তির দোসরদের মদদে বারবার ইতিহাস মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস কখনও মুছে ফেলা যায় না।
শনিবার (২২) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তান থেকে ফিরে এলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি দেশ গঠনে মনোনিবেশ করলেন। কিন্তু পাকিস্তানের দোসররা ৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিলো। তারা ভাষা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে তাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করলো। কিন্তু ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।
গত এক দশকে দেশ আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করেছে। শহীদদের আত্মত্যাগ আওয়ামী লীগ কখনো বৃথা যেতে দেবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি আমরা প্রযুক্তিকেও এগিয়ে নিতে চাই। প্রযুক্তির জ্ঞান ব্যবহার করে আমরা সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। ভাষা শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেবো না।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ৭৫-এর পর ২১টি বছর জাতির পিতার নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর তা আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে আবারও মুছে ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু পারেনি। সবচেয়ে সৌভাগ্যের বিষয় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় পালন করতে পারছি।
তিনি বলেন, বাংলাকে কেউ এখন দারিদ্র্য, দুর্যোগপূর্ণ ও ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত দেশ বলতে পারবে না। বাংলাদেশের একটি মানুষও যেন গৃহহারা না থাকে। যারা গৃহহীন তাদের আমরা ঘর করে দেবো। প্রত্যেক মানুষের একটা ঠিকানা হবে।