• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
অফিসে বসেই ধূমপান পিআইও’র প্রকল্পে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ চাষিরাই পারে ঠাকুরগাঁও সুগারমিলকে টিকিয়ে রাখতে-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ খতিবের এমফিল ডিগ্রি অর্জন যৌন কেলেঙ্কারি ফাঁস, কলেজ অধ্যাপকের প্রত্যাহারের দাবি কৃতি শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড়দের সম্মাননা দুদক মামলার আসামি শহিদুলের দপ্তরে দপ্তরে তদবির, সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের হুমকি অপপ্রচার ঠাকুরগাঁওয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে আগুন, আটক-১ অবৈধ দখলে উপজেলা পরিষদ আবাসিক ভবনভাড়া বকেয়া দুইলাখ পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের দৃশ্য ভেসে উঠছে প্রকাশ্যে ঘুরছে হত্যাকারি আলামিন হিন্দুদের মন্দির-বাড়ি পাহারায় জামায়াত-শিবির

বেরোবি শিক্ষার্থীদের দেয়া লাখ লাখ টাকা যায় কোথায়?

সাংবাদিকের নাম / ২৬ জন দেখেছেন
আপডেট : শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ ছাত্রসংসদের অস্তিত্ব নেই। লাইব্রেরিতে নেই পর্যাপ্ত বই। নানা সঙ্কটে ধুঁকছে মেডিকেল সেন্টার। ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের দেয়া লাখ লাখ টাকা যায় কোথায়, ছাত্র-শিক্ষক সবার অজানা।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির দাবি, আদায় করা অর্থ ছাত্রদের কল্যাণেই ব্যয় হয়। তবে শিক্ষক নেতারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের টাকা সংশ্লিষ্ট খাতের বাইরে ব্যয় করা অর্থনৈতিক অনিয়ম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। বেশিরভাগ তাক বই শূন্য। ১২ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য বই আছে ৯ হাজার। ছাত্র-শিক্ষক মিলে প্রায় ১৬ হাজার মানুষের জন্য তিনজন চিকিৎসক আর একজন নার্স দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে মেডিকেল সেন্টার।

প্রথম তিন বছরের তথ্য না পেলেও সময় সংবাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১১ থেকে ২০২০ এই ৯ বছরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লাইব্রেরি, চিকিৎসাসহ ২২টি খাতে আদায় করা হয় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। যার মধ্যে অস্তিত্ববিহীন ছাত্রসংসদের নামেই নেয়া হয় প্রায় ২৪ লাখ টাকা। ছাত্রদের প্রশ্ন এতো টাকা গেলো কোথায়?

এক শিক্ষার্থী বলেন, উন্নয়নের নামে যে টাকাটা নেয়া হচ্ছে, তাতে কী উন্নয়ন হচ্ছে? দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার কোনো ফান্ডও নেই।

আরেকজন বলেন, শিক্ষার্থীরা সুচিকিৎসা পায় না। প্যারাসিটামল ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না মেডিকেল সেন্টারে।

মেডিকেল অফিসার ডা. অলোক কুমার দাস বলেন, মেডিকেল সেন্টারের জন্য বেড দরকার, ডাক্তার দরকার, জনবল দরকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক নিজেও জানেন না কোন খাতের টাকা কোথায় যায়। তবে ভিসির দাবি, ছাত্রদের কল্যাণেই ব্যয় হয় টাকা।

অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. আরএম হাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনেই সব হয়, একেবারে খাত ভিত্তিতে এ কাজটা হয় কিনা আমি সেটা বলতে পারব না।

উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, দৃশ্যত অনেক সময় দেখা যায় যে ওই খাতগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে না, আসলে যা কিছু সঞ্চয় ঘটে, সবকিছু ছাত্র কল্যাণেই ব্যয় হয়ে থাকে।

তবে শিক্ষক নেতারা বলছেন, সংশ্লিষ্ট খাতের বাইরে ছাত্রদের টাকা ব্যয় করা অর্থনৈতিক অনিয়ম।

অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মতিউর রহমান বলেন, প্রত্যেক খাতের বিপরীতে একটি করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকার কথা এবং তাতে জমা হওয়া অর্থ ওই খাতেই খরচ হওয়ার কথা।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. একেএম ফরিদ-উল ইসলাম বলেন, কোন খাতে কত অর্থ ব্যয় হচ্ছে সরকার যেখানে প্রকাশ করছেম সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটা ছোট জায়গায় কেন প্রকাশ হবে না? এটা ঠিক নয়।

২০০৮ সালে ৭৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ অনুষদের ২১টি বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।


এধরনের আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক প্রকাশিত

Editor: Ataur Rahman
News editor : Joherul Islam
email: newsnat24@gmail.com
Phone: 01717253362, 01744367842
N.C Road, Thakurgaon.