নিউজ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে এসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আচরণে ক্ষুদ্ধ হয়ে রাতে ফিরে গিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। সেই সাথে বর্জন করেছিলেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শহীদ মিনারে ফুল প্রদানসহ সকল কর্মসূচী।
এ বিষয়ে সময় নিউজ ডট টিভি অনলাইন পোর্টালসহ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশের পর আলোচনা-সমালোচনার পড় আজ শুক্রবার বিকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আলোচনায় বসেন অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক নুর কুতবুল আলম। দীর্ঘ আলোচনা শেষে বিকাল ৫টায় শহীদ মিনারে এসে ফুুলেল শ্রদ্ধা জানান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের মুক্তিযোদ্ধারা।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমন, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুুজন, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আব্দুস সোবহান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সলেমান আলী, মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলমসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে একুশের প্রথম প্রহরে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে এসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমনের অসদাচরণে শহীদ মিনার ত্যাগ করে ফিরে যান মুক্তিযোদ্ধারা। মুহুর্তের মধ্যেই বিষয়টি টপ অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়।
প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিতে না পেরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেছিলেন, স্বাধীনতার পর থেকে উপজেলা প্রশাসনের পর মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিটি জাতীয় দিবসে শহীদ মিনার এবং স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান তারা। কিন্তু এবারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে নতুন করে মাইকে ঘোষনা দেয়া হয় প্রথমে উপজেলা প্রশাসন পরে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ এরপর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাবেন। এ ঘোষনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ মিনার ত্যাগ করে ফুল দেয়া বর্জন ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুরকুতুবুল আলম জানান, এখানে কিছুটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সাথে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করে সমন্বয় করে দিয়েছি। পরবর্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়েছি।