নিউজ ডেস্ক: যাদের অকাতরে বিলিয়ে দেয়া প্রাণের বিনিময়ে বাঙালি পেল ভাষার অধিকার, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রহর গুনছে পুরো জাতি। নিরবচ্ছিন্ন কর্মযজ্ঞে প্রস্তুত করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদীকে। রং তুলি আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে মায়ের ভাষাকে। নিরাপত্তায় মুড়িয়ে দেয়া হয়েছে পুরো শহীদ মিনার এলাকা।
দেয়াল চিত্রণে প্রতিবাদের ভাষা প্রতিরোধের আগুন তুলির আঁচড়ে ফুটে ওঠে কয়েক গুণ হয়ে। আলপনার রঙে সজ্জিত শহীদ মিনার বেদী। তোরণে বেষ্টিতে আশেপাশের রাস্তাজুড়ে আলোকবাতির সমাহার।
একজন বলেন, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময় আমরা এ মাতৃভাষা বাংলাকে পেয়েছি। সেসব শহীদদের স্মৃতিগাঁথা দেয়ালে তুলিতে আঁকা হচ্ছে।
আরেকজন বলেন, আলপনা ও শহীদ মিনার সাজাতে যে কাজ করেই ভাষা প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করি।
শেষ মুহূর্তে তৎপর পরিচ্ছনতা কর্মীরাও। কেউ ঝাড়া মোছায় ব্যস্ত। আবার কেউবা করছেন তদারকি।
শ্রদ্ধা নিবেদন নির্বিঘ্ন করতে শহীদ মিনার চত্বরে ৩ ধাপে নিরাপত্তা তল্লাশিসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে র্যাব।
র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, তিন ধাপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমরা এখানে প্রতিপালিত করব। এজন্য পুরো এলাকাকে ৫টি সেক্টরে বিভক্ত করে এখানে পর্যাপ্ত অবজারবেশন পোস্ট স্থাপন করব।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর সর্বস্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে শহীদ মিনার।