৮ ফাল্গুন শুরুতে শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হলেও, দিবসটি বিশ্বজনীন মর্যাদায় রূপ নিয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে। একুশ তাই শোক পেরিয়ে গৌরব আর অহংকারেরও প্রতীক। একুশের প্রথম প্রহরে নত শিরে মহান শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবে জাতি। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে। আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।
রক্তে রাঙানো একুশ। একুশ মানে মাতৃভাষা মর্যাদা রক্ষায় রক্ত রঙে রঞ্জিত রাজপথ, একুশ মানে সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অপ্রতিরোধ্য বর্ণমালা, একুশ তাই মাথা নত না করার দীক্ষায় তারুণ্যের চেতনায় আগামীর বাংলাদেশ।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদী জুড়ে আঁকা হচ্ছে আলপনা। সাদা আঁচড়ে স্পষ্ট হচ্ছে চারুকর্ম। দেয়াল লিখনিতে বর্ণমালার অক্ষরে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আ মরি মাতৃভাষার মর্ম।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে নিরাপত্তাজনিত সব ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান ডিএমপি ও অমর একুশ উদযাপন কমিটি।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি ইঞ্চি সিসিটিভির মনিটরিংয়ের ভিতরে থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমাদের নয়শোও অধিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন।বৃহস্পতিবার রাতের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদীতে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে শহীদ মিনার।