নিউজ ডেস্কঃ ফসলখেকো পোঁকা পঙ্গপালের হানায় বিপর্যস্ত কেনিয়া, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়াসহ আফ্রিকার ১৪টি দেশ। এ প্রজাতির পোঁকা মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়ার ৩০টি দেশে এরইমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ভারত-পাকিস্তানেও।
এতে গোটা পৃথিবীতেই চরম খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে। এরইমধ্যে জরুরি অবস্থা জারিসহ ৭৩০ কোটি রুপির একটি কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে পাকিস্তান।
পঙ্গপালেরা একদিনেই সাবাড় করে দিতে পারে ৩৫ হাজার মানুষের প্রয়োজনীয় খাবার। মুহূর্তেই ধ্বংস করে ফেলতে পারে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ফসলি জমির ওপর হানা দিয়েছে পঙ্গপালের ঝাঁক। দেশটির সীমান্তে এর প্রকোপ বাড়তে থাকায় মুক্তি নেই ভারতেরও। এরইমধ্যে গুজরাটসহ ভারতের প্রায় ৪ লাখ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতি স্কয়ার কিলোমিটার পঙ্গপালের ঝাঁকে থাকে ৪ থেকে ৮ কোটি পোঁকা। জাতিসংঘের আশঙ্কা, আগামী জুনে এর বিস্তার অন্তত ৫০০ গুণ বৃদ্ধি পাবে। যেটি পৃথিবীজুড়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
আফ্রিকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৪০০ গুণ বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে পঙ্গপালের বংশ বিস্তার দ্রুত বেড়েছে। যা গত ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। পঙ্গপালের বিস্তারের জন্য পরিবেশ বিপর্যয়কে দুষছে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা-এফএও।
বিপর্যয় মোকাবিলায় ৭ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে এফএও। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৯০ লাখ ডলার তারা সংগ্রহ করতে পেরেছে। পঙ্গপালের দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পৃথিবীর ১০ ভাগ মানুষ খাদ্য সংকটে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।