নিউজ ডেক্সঃ ষষ্ঠবারের মতো ফিফার দ্য বেস্ট (ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কার) জিতেছেন লিওনেল মেসি। তবে তার এই পুরস্কার ঘিরে উঠেছে নানা বিতর্ক। অনেকে অভিযোগ করছেন ভোট জালিয়াতির। তবে ফিফার দ্য বেস্ট নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে ফিফা। মোট ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম হয়েছেন আর্জেন্টাইন। আর ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় নেদারল্যান্ডের ভার্জিল ভ্যান ডাইক ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো তৃতীয় হয়েছেন ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে।
নিকারাগুয়া অধিনায়ক হুয়ান বারেরা দাবি করেছেন তিনি এবার ভোটই দেননি। যদিও ফিফার ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে বারেরা প্রথম হিসেবে মেসিকে বেছে নিয়েছেন।
ফিফার মুখপাত্র ইএসপিএনকে বলেছে, ‘আমরা নিকারাগুয়া এফএর পাঠানো কাগজপত্র দেখেছি। সবগুলোই অফিসিয়াল সিল সংযুক্ত ও সাইন করা। সে কাগজ ও ফিফার ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য আমরা যাচাই করে দেখেছি। আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে সঠিক খেলোয়াড়ের পক্ষেই ভোট পড়েছে। আমরা নিকারাগুয়া ফেডারেশনকে এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে বলব।’
নিকারাগুয়ার এক সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি পরে বলেছেন, গতবার তার কাছে ভোট দেয়ার নিয়ম ও শর্তসহ কাগজপত্র এসেছিল। সেবার তিনি ভোট দিয়েছেন। তবে ২০১৯ দ্য বেস্টের ভোট গ্রহণে অংশ নেননি তিনি।
মিশরর ফুটবল ফেডারেশনের অভিযোগ খণ্ডন করেছে ফিফা। গত আগস্ট থেকে মিশর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন অকার্যকর হয়ে যাওয়ার পর ফিফার ইমার্জেন্সি টিমের তত্ত্বাবধানে চলছে মিশরের ফুটবল।
ফিফা বলছে, মিশরের পাঠানো ব্যালটে স্বাক্ষর ছিল ক্যাপিটাল লেটারে (বড় হরফে), আর সঙ্গে জেনারেল সেক্রেটারির কোনো স্বাক্ষরও সংযুক্ত ছিল না।
ফিফা দাবি করেছে, আগস্ট মাসের ১৯ তারিখের আগে আরও দুইবার মিশরকে ভুল সংশোধন
করতে বলেছিল তারা। ফিফার ওয়েবসাইটে দেয়া ভোটে তাই উল্লেখ ছিল না কোনো
মিশরের নাম। ফিফা বলছে, নিরপক্ষে নিরীক্ষক দ্বারা পরিচালিত হয় ফিফার ভোটিং
পদ্ধতি। তাদের দাবি এখানে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।