নিউজ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসে কাঁপছে চীন। আতঙ্কে আছে বিশ্ববাসী। এই ভাইরাসে বিষয়ে বাংলদেশও সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। বিমানবন্দরে নেয়া হয়েছে কড়া সতর্কতা। স্ক্যানিং ছাড়া চীন থেকে আগত কাউকেই প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এই অবস্থায় বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বাংলাদেশ-চীন যাতায়াত সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার উদ্যোগ নিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জরুরি সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে আলাপকালে এই কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ নাও ধরা পড়তে পারে। যেহেতু চীনে বহুসংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন, সুতরাং তারা সবাই এখন ফিরতে গিয়ে এ ভাইরাস দেশে আনলে তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এ কারণে বাংলাদেশ-চীন যাতায়াত সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার জন্য উদ্যোগ নিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চীন-বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক গভীর। দেশের বহু মানুষ বাণিজ্যিক কারণে চীনে যাতায়াত করেন। সুতরাং ভয়াবহ এ ভাইরাস বাংলাদেশে যে কোনো উপায়ে চলে এলে তা আমাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ কারণে ২৮ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে চীনে ও চীন থেকে বাংলাদেশে সব ধরনের ভ্রমণ সাময়িকভাবে স্থগিত করা যায় কি-না, সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে।’
সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।