নিউজ ডেস্কঃ পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল নিয়ে ভিন্ন অজুহাত দিলেন সরকারের দুই মন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসামে সহকারী হাই-কমিশনারের গাড়িতে হামলার ঘটনার কারণে সফর বাতিলের কথা জানালেও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের অজুহাত দেখালেন সেতু ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এদিকে সহকারী হাই কমিশনারের গাড়িতে হামলার ঘটনাকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বলে অভিহিত করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের পর ভারত এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে দু’দেশের সম্পর্কের নানাদিক। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ‘সোনালী সময় শেষ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে হিন্দুস্তান টাইমসে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের গাড়ি বহরে হামলা হয়। খুলে ফেলা হয়েছে দুটি পথনির্দেশক। ঐদিন সন্ধ্যায় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ।
এর পর পর বাতিল করা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সময় সংবাদকে জানান, গাড়িতে হামলার কারণেই তিনি সফর বাতিল করেছেন।
তিনি বলেন, অবস্থা স্বাভাবিক নয়। তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে সেই জায়গায় একটা উত্তাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের কনসাল্ট জেনারেল যিনি আসাম থেকে কয়েকটি রাজ্য পরিচালনা করেন। তাকেও সেখানে অসুবিধা ফেস করতে হয়েছে। সেই জন্য তিনি বলেছেন, আমিও আসতে পারছি না। আমিও যেন আরেকটা ডেটে যাই।
এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে বাতিল করা হয়েছে সফর।
তিনি বলেন, দুটি দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় কারণে তারা এখন ভারত সফরে নাও যেতে পারেন। পরে হয়তো যাবেন।
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের উপর হামলা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক কূটনীতিকরা।
দু’দেশের সম্পর্কের বিষয়ে ভারতকে আরো আন্তরিক হতে হবে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
তারা বলেন, স্বাধীনতার পর ভারত বাংলাদেশের যে সম্পর্ক। যে সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভারতের ক্ষতির কারণ হবে বাংলাদেশের জন্যও ক্ষতির কারণ।
রোহিঙ্গাদের মতো ভারত থেকেও মানুষের ঢল নামলে তা দেশের জন্য বিপজ্জনক বলেও অভিমত তাদের।