নিউজ ডেস্কঃ শীত বেড়ে যাওয়ায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে দিন দিন বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা। এ অবস্থায় চিকিৎসা নিতে এসে গত ২৪ ঘন্টায় তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমান সময়ে হাসপাতালটিতে শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে সব বসয়ী রোগীর সংখ্যা। এ হাসপাতালে বর্হিবিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে ৭-৮শ রোগী। আর ভর্তি থাকছে ৩-৪শ রোগী। আর হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যা একশ। অন্যদিকে শিশু ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যা মাত্র ১৮টি। গত ২৪ ঘন্টায় যে তিনজন শিশু মারা গেছে তারা সবাই নবজাতক ১ জনের বয়স ১ ঘন্টা, অন্যজনের বয়স ১২ ঘন্টা আর অপরজনের বয়স ১৬দিন।
এ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী ও স্বজনরা। বিছানা না পেয়ে অনেককেই থাকতে হচ্ছে হাসপাতালে মেঝে কিংবা বারান্দায়। ফলে কাঙ্খিত সেবা না পাওয়ার অভিযোগ রোগী ও স্বজনদের।
পঞ্চগড় থেকে আসা রফিকুল ইসলাম, পীরগঞ্জ উপজেলার লোহাগাড়া থেকে আসা আয়শা বেগম ও সদর উপজেলার আকচা থেকে আসা সোলেমান আলীসহ অনেকে জানান, শীতের কারনে বাচ্চাদের ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকস্ট নিয়ে সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দু-থেকে তিন ধরে ভর্তি আছি। কিন্তু বিছানা না পেয়ে মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। মেঝেতে শীত বেশি বাচ্চাদের আরো কষ্ট হয়। আবার উপায় না পেয়ে কোন কোন বিছানায় ২-৩ শিশু ও অভিভাবকরা গাদাগাদি করে থাকছে। এতে শিশুদের নিয়ে খুব কস্ট হচ্ছে। আমরা চাই হাসপাতালের অবস্থার উন্নতি তাহলে গরীব মানুষ উপকার পাবে। কারন গরীবদের টাকা নাই বলেই সরকারি হাসপাতালে আসে না হলে তো ক্লিনিকে ভর্তি হতো। আমরা চাই সরকার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ শাহাজাহান নেওয়াজ জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার রোগীরা শুধু নয়। এ হাসপাতালে এসে চিকিৎসা পাচ্ছে বলেই পাশের জেলা পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের কিছু অংশের রোগীরা এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফলে শয্যা সংকটে পরে হাসপাতালের বারান্দায় থেকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় গত ২-৩ দিন শিশু ওয়ার্ডে শতাধিক রোগী ভর্তি ছিল। আজ এখন পর্যন্ত ভর্তি আছে ৮৬ জন শিশু। আর গত ২৪ ঘন্টায় তিন শিশু মৃত্যু হয়েছে ঘটনা সত্য। তবে তাদের শ্বাসকস্ট ও ওজনে কম ছিল। অন্যদিকে হাসপাতালে সময়মত না আসায় তাদের রক্সা করা সম্ভব হয়নি। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেস্টা করছি সেবা প্রদানে। তবে অভিভাবকরা সচেতন হলে শিশুরা ভাল থাকবে।