নিউজ ডেস্কঃ আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় কিলোওয়াট ঘণ্টা প্রতি (কি.ও.ঘ) ৪৯ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) বিদ্যুতের মূল্যহার পরিবর্তনের বিষয়ে শুনানি চলছে।
শুনানি পর্বের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ডিপিডিসির চেয়ারম্যান বিকাশ দেওয়ানসহ অন্যান্য সদস্য এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের উপ-ব্যবস্থাপক (ট্যারিফ) কামরুজ্জামান।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন (টিসিবি) ভবনের অডিটোরিয়ামে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে ডিপিডিসির পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় বৃদ্ধির এ প্রস্তাব করা হয়।
ডিপিডিসি ২০২০ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় কিলোওয়াট ঘণ্টা প্রতি ১.২৪ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। অপরদিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ০.৮৭ টাকা করার কথা বলেছে। এর আগে ২০১৭ সালে প্রদত্ত মূল্যহারে বিদ্যুতের নিট বিতরণ ব্যয় ছিল ০.৮৩ টাকা। ডিপিডিসির এ প্রস্তাবনার ফলে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হলো আজ।
বিদ্যুতের বিতরণ ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ডিপিডিসি উল্লেখ করে, অপচয় ও সম্পদের পরিবৃদ্ধি; জনবল, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে তারা।
গণশুনানিতে জুরি বোর্ডের দ্বায়িত্ব পালন করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম। এছাড়াও কমিশনের সদস্য রহমান মুর্শেদ, মিজানুর রহমান এবং মাহমুদউল হক ভুঁইয়া ছিলেন।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে জেরা পর্বে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের (ক্যাব) সভাপতি অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সিকিউরিটি সার্ভিস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শাহানুর সরকার, বাংলাদেশ মোবিইল ফোনের গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।