নিউজ ডেস্ক: খুচরা পর্যায়ে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুৎ বিতরণের মাশুল ২১ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। রোববার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে টিসিবি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) শুনানিতে এ প্রস্তাব তুলে ধরেন পিডিবির জিএম (বাণিজ্যিক কার্যক্রম) কাউসার আমীর আলী।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ও সঞ্চালন মাশুল বাড়লে তা ‘পাস থ্রো’ পদ্ধতিতে সমন্বয় করতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যুতের ডিমান্ড চার্জও বাড়াতে হবে।
পিডিবির হিসাব মতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুৎ বিতরণে এক টাকা ৩১ পয়সা ব্যয় হয়েছিল। ২০২০ সালে বিতরণ ব্যয় এক টাকা ১৮ পয়সা ধরা হয়েছে, যা বিইআরসির হিসাবেও একই।
তবে আয় হিসাবে অন্য খাত থেকে ইউনিটপ্রতি ১৩ পয়সা আসার হিসাব দিয়েছে পিডিবি। কিন্তু বিইআরসির হিসাবে তা ১৫ পয়সা, যা বিতরণ ব্যয় থেকে বাদ যাচ্ছে। সে হিসাবে দুপক্ষের মূল্যায়নের পার্থক্য তিন পয়সা।
প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, ট্যারিফ সমন্বয়ের ক্ষেত্রে ইউনিটমূল্য না বাড়িয়ে ডিমান্ড চার্জ বাড়ানো যেতে পারে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিম্নচাপ (এলটি) সংযোগের লোড ৫০ কিলোওয়াট থেকে বাড়িয়ে ৮০ কিলোওয়াটে উন্নীত করা। এছাড়া বকেয়া বিলের ওপর এককালীন ৫ শতাংশ হারে বিলম্ব পরিশোধ মাশুল আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়।
উল্লেখ্য, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে আজ (১ ডিসেম্বর), যা চলবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ৮৫ পয়সা হারে বিতরণ মাশুল আদায় করে পিডিবি। ২১ শতাংশ বা ২০ পয়সা বাড়ালে তা এক টাকা পাঁচ পয়সা হবে।