নিউজ ডেস্ক: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দিয়ে ক্যাম্পাস সচলের দাবি জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, হল বন্ধ থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রমে ভর্তিচ্ছুরা ভোগান্তিতে পড়বে। আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে মৌখিক এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসবে। অধিকাংশ ভর্তিচ্ছুরই ঢাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী এলাকায় থাকার জায়গা না থাকায় বিড়ম্বনা এড়াতে ও নির্বিঘ্নে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে তাদের অনেকে হলে অবস্থান করেন। কিন্তু ছাত্রস্বার্থ পরিপন্থী হল ভ্যাকেন্টের সিদ্ধান্ত এখনও বলবৎ থাকায় অসুবিধায় পড়বে এই ভর্তিচ্ছুরা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হল খুলে দেয়ার দাবির পক্ষে শিক্ষার্থীদের উপর্যুপরি আবেদন ও হুঁশিয়ারির পরেও হল ভ্যাকেন্টের সিদ্ধান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরে আসেনি। এতে করে বিপাকে পড়েছে হাজারো শিক্ষার্থী, বিপর্যস্ত হচ্ছে তাদের শিক্ষাজীবন। শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন সচল এবং ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি লাঘবে হল ভ্যাকেন্টের সিদ্ধান্ত বাতিলের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং সিন্ডিকেটের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা’।
মঙ্গলবার দুপুরে উপাচার্যের কাছে দেয়া আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক করার জন্য উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে লিখিত আবেদনপত্র জমা দেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিষয়টির কোনো সুষ্ঠু সমাধান পাইনি। এতে করে আমাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে। সেশনজট, টিউশন, চাকরি এসবই অনিশ্চিত। তাই চলমান সংকট নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।