নিউজ ডেস্কঃ রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি।
গাম্বিয়ার করা মামলায় হাজিরা দিতে নেদারল্যান্ডসের হেগে যাচ্ছেন তিনি। এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে মিয়ানমারের রাখাইনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। সংকট সমাধানে চীন-রাশিয়াসহ তুরস্কের সহযোগিতাও চেয়েছে ঢাকা।
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা নিপীড়নকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে গত ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে বিচার চায় পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত-আইসিজে মামলাটি আমলে নিয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর। এ মামলায় হাজিরা দিতে নেদারল্যান্ডসের হেগে যাচ্ছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি।
সনামধন্য আইনজীবীদের দিয়ে গাম্বিয়ার করা মামলা লড়বে মিয়ানমার। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তিনি মানবাধিকার ইস্যুতে কোনো কথা বলেননি, সংকট নিরসনেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি। এর উত্তর সু চি নিজেই দেবেন।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-আইসিসি রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি দিয়েছে। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে রাখাইনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সংস্থাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন এ আহ্বান জানান।
তুরস্কের আঙ্কারা সফরে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দেশটির সহায়তা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এছাড়া নেইপিদোর ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আড়াই বছর হতে চললেও, এখনও একজন রোহিঙ্গাও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার। এ জন্য সু চি সরকারের টাল বাহানাকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।