নিউজ ডেস্কঃ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এ অবস্থায় কারসাজি করে চালের দাম বাড়ানো হলে, দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন খাদ্যগুদামে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টন চাল ও গম মজুদ রয়েছে। এরমধ্যে চালের পরিমাণ ১১ লাখ ১৩ হাজার ৩০৩ টন। তা সত্ত্বেও মজুদ সংকটের কথা বলে গত কয়েকদিনে কারসাজি করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে চালের দাম বাড়িয়ে দেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
এ অবস্থায় দু’দিনের ব্যবধানে সকালে সচিবালয়ে আবারও চাল ব্যবসায়ী ও চাল কল মালিকদের সঙ্গে জরুরী বৈঠকে বসেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। মজুদ কমে যাওয়ায় চালের দাম বেড়ে গেছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। তবে তা মানতে নারাজ মন্ত্রী।
ধান ব্যবসায়ীরা বলেন, মিলগুলো এমন একটা পজিশনে আছে, যে প্রতিদিন ধান কিনছে, ক্রাশিং করছে, বাজারজাত করা হচ্ছে। বিগত দিনের তুলনায় মিলারদের কাছে ধান স্টক কিন্তু খুবই সীমিত।
মন্ত্রী বলেন, স্টক কমে গেছে এ কথা আমি মানতে পারবো না। কথা একটাই, চালের দাম বাড়ানো যাবে না।
অতি মুনাফার লক্ষ্যে কারসাজি করে চালের দাম বাড়ানো হলে, দায়ীদের ছাড় দেয়া হবে না বলে হুশিঁয়ার করেন খাদ্যমন্ত্রী। গত কয়েক দিনের বাড়তি দাম কমিয়ে আগের দামেই চাল বিক্রির জন্য পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, গতবারের চেয়ে যেহেতু ধানের দাম কম আছে, সেহেতু চালের দাম এবার কম হতে হবে, এটাই হলো কথা। কৃষক দাম পাবে না, অথচ মধ্যস্বত্তভোগীরা, আপনারা বেনিফিট বেশি দিবেন, এটা চলতে দেয়া যাবে না। ভোক্তা অধিকারের যারা আছেন এটা মনিটরিং করেন, আপনাদের ভোক্তা অধিকার আইনে যেটা করা দরকার সেই ব্যবস্থা নেন।
এদিকে, পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় টানা পরিবহন ধর্মঘট হলেও চালের দাম বাড়বে না বলে জানান মন্ত্রী।