নিউজ ডেস্ক: জনগণের ভোটাধিকার হরণের প্রতিবাদে ৩০ ডিসেম্বর কালো দিবস পালন করার ঘোষণা দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাতেই সম্পন্ন হয়েছে। এটি যে জালিয়াতিপূর্ণ ভোট ডাকাতির নির্বাচন ছিল সে ব্যাপারে আজ কোনো বির্তক নেই। দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের দিন, ৩০ ডিসেম্বর আরও একটি কালো দিবস হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
তারা বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের ১৪ দলীয় জোট ২০০৮ সালে ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করে দিন বদলের কর্মসূচি দিয়ে ক্ষমতাসীন হয়ে গত ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। জনগণের কাছে প্রদত্ত অঙ্গীকার বরখেলাপ করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি প্রার্থী ও ভোটারবিহীন নির্বাচনে ১৫৪ জন প্রার্থীকে জয়ী দেখিয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগের দিন প্রশাসন ব্যবহার করে জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করতে হয়েছে। বিজয়ী ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ঘোষিত ভোট পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাকে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করেছিল।
আর এজন্য জনগণের ভোটদানের অধিকার ছিনিয়ে নেবার এদিনটিকে বাম গণতান্ত্রিক জোট কালো দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জোটের পক্ষ থেকে সারা দেশে উপজেলা পর্যায়ে জোটের শরিক দলসমূহের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পতাকা মিছিল করা হবে। এর পাশাপাশি ঢাকায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ করবে।
জোটের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাম জোটের পক্ষ থেকে খালেকুজ্জামান, মোহাম্মদ শাহ আলম, সাইফুল হক, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, মোশরেফা মিশু প্রমুখ।