নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলের দিকে ভয়াবহভাবে ধেয়ে আসছে । এটি শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর দেশ দুটির উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগের (বিএমডি বা বাংলাদেশ মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট) বিজ্ঞানীরা বলেছেন, উপকূলের ১৯ জেলায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবে। এর মধ্যে ১৩ জেলা বেশি ঝুঁকিতে। ঝড়ের সঙ্গে উপকূলীয় জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে।
এ দিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় উপকূলীয় ১৩ জেলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শনিবার ও রবিবারের (৯ ও ১০ নভেম্বর) ছুটি বাতিল করা হয়েছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি। আর আগামীকাল রবিবার (১০ নভেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি ছিল।
যেসব জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে সেগুলো হলো- সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুর, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, খুলনা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান। এর আগে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ প্রভাব মোকাবেলায় মনিটরিং সেলের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ‘বুলবুল’ উপকূল অতিক্রমকালে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে। আর বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ উঠতে পারে ১৪৪ কিলোমিটার। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে বুলবুলের ঘূর্ণনের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার। উপকূল অতিক্রমের আগে এটি কিছুটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।