নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি ও সন্ত্রাস দমনে চলমান শুদ্ধি অভিযানে কোনো ছাড় নেই। এতে যত বড় রাঘব-বোয়ালই হোক না কেন সকল অপশক্তির শেকড় উৎপাটনে অভিযান জোরদার হবে। তবে দলের নাম ভাঙিয়ে চলা হাইব্রিডদের অপকর্মের দায় দল নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ, উত্তর ও দক্ষিণ, বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ির বিশেষ প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। নগরের দি কিং অব চিটাগাংয়ে এ আয়োজন করা হয়।
শুদ্ধি অভিযানে বিএনপি ব্যাকফুটে চলে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, তাদের (বিএনপি) অধিকাংশ নেতাই জুয়াড়িদের কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে চলেন। তাদের আমলেই এ ব্যবসার প্রসার ঘটেছে। এ অভিযানের ফলে ব্যাকফুটে চলে গেছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে সাহসী নেত্রী উল্লেখ করে কাদের বলেন, বাংলাদেশকে উন্নতির অন্যমাত্রায় নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে দেশকে জঞ্জালমুক্ত করতে কঠোর অবস্থানও নিয়েছেন তিনি। অপরাধীরা নিজ মুখেই বলছেন, শেখ হাসিনার সততা ও দেশপ্রেমের কারণেই তাদের আইনের আওতায় আনতে পেরেছে।
কাদের বলেন, দলের দুঃসময়ে হাইব্রিডদের আতশী কাঁচ দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। তারা আখের গুছিয়ে সটকে পড়বেন। তাই দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত আছেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর, চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।