নিউজ ডেক্সঃ মাত্র ৬ মাসে ফেনীর নুসরাত হত্যা মামলার রায় ইতিবাচক। তবে তনু-মিতুর মতো আলোচিত হত্যাকাণ্ড বছরের পর বছর ঝুলে থাকা দেশের বিচার ব্যবস্থার বিরাট ব্যর্থতা মনে করছেন আইনজীবীরা। তাদের মতে, এতে দীর্ঘায়িত হচ্ছে বিচারহীনতার সংস্কৃতি। এদিকে দু’একজন ছাড়া নুসরাত হত্যার বাকি আসামিদের সাজা উচ্চ আদালতে বহাল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী।
নুসরাত ফিরে আসবে না একথা ঠিক। তবু হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ সাজার রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি স্বজন-হারাদের অন্তরে।
আইনে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই হলো আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের রায়। তদন্ত কর্মকর্তাদের আন্তরিকতায় দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তেমনি বিচারকাজেও কোনো ছেদ পড়েনি। প্রতি কার্যদিবসেই হয়েছে সাক্ষ্য-গ্রহণ ও শুনানি।
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী বলেন, মানবাধিকার কর্মী হিসেবে আমি মনে করি, এটা একটি যুগান্তকারী রায়।
তবে আলোচিত হয়েও ঝুলে থাকা মামলার সংখ্যা নেহাত কম নয়। ২০১২ সালের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো তদন্তেই ঠেকে আছে। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অন্তত ৫৪ বার সময় নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এই তালিকায় আরো আছে ২০১৬ সালে কুমিল্লার তনু, চট্টগ্রামের মিতু, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড। আইনজীবীরা বলছেন, এসব মামলা বিচার এগিয়ে নেয়ার প্রধান অন্তরায় তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা।
হাইকোর্টের আইনজীবি অ্যাড. শামীম হায়দার বলেন, দুই একটি মামলার বিচার করেই আমরা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি এটা বলা যাবে না। আমাদের দেশে অনেক মামলা আছে বছরের পর বছর যা আলোর মুখ দেখেনি।
রায় হলেও উচ্চ আদালতে বিচার প্রক্রিয়া ঝুলে থাকাকে বড় সংকট হিসেবে দেখছেন আইনজীবীরা।
এদিকে, তদন্তাধীন আলোচিত অন্যান্য মামলা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি আইনমন্ত্রী। তবে নুসরাত হত্যায় দু’একজন ছাড়া বাকিদের ফাঁসির আদেশ বহাল থাকবে বলে মনে করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসকে নির্দেশনা দেব তারা যেন নুসরাতের মামলাটি গুরুত্বসহকারে দেখে।
দ্রুত এ ধরনের মামলার নিষ্পত্তির মাধ্যমে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান আইনজীবীদের।