স্টাফ রিপোর্টারঃ ঠাকুরগাঁওয়ে স্বল্প মেয়াদী বিনা ধান ১৭ কর্তনে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা সদরের দেবীপুর ইউনিয়নের খলিশাকুড়ি গ্রামে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে দেবীপুর ইউনিয়ন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি শাহিদা বেগমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান । এছাড়াও অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আরডিআরএস বাংলাদেশের কৃষি কর্মকর্তা রবিউল আলম, কৃষি কর্মকর্তা রায়হান কবিরসহ দেবীপুর ইউনিয়ন ফেডারেশনের সাধারন সদস্যবৃন্দ ও এলাকার ধান চাষীরা।
মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদর্শনী প্লটের মাঠ পরিদর্শনসহ ধান কাটার আয়োজন করা হয় এবং প্রদর্শনী প্লটের কৃষক বিনাধান ১৭ এর উৎপাদন কার্যক্রম বর্ননা করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ আমন মৌসুমে বর্তমানে পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে সহনশীল স্বল্প মেয়াদী বিনাধান ১৭ এর উপযোগীতার বিষয়ে আলোকপাত করেন।
এসময় তারা বলেন, বিনাধান ১৭ উচ্চ ফলনশীল, খরা সহিষ্ণু স্বল্প মেয়াদী আমন ধানের জাত। প্রজনন পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ দিন বৃষ্টি না হলেও এ জাতটির ফলনের তেমন ক্ষতি হয়না এবং ভুপৃষ্ঠ থেকে পানির স্তর ৭০ থেকে ৮০ সে.মি. নিচে থাকলে ও মাটির আর্দ্রতা শতকরা ২০ ভাগের নীচে নেমে গেলেও ভাল ফলন দিতে সক্ষম।
মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায় বলেন,বিনাধান ১৭ যেহেতু একটি খরা সহিষ্ণু ধানের জাত, তাই দেশের উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে জেলায় এ ধানের সম্ভাবনা আরও বেশী এবং স্বল্প মেয়াদী হওয়ায় এ ধান কাটার পরে কৃষকেরা সহজেই আগাম সরিষা, আলুসহ অন্যান্য রবিশষ্য চাষাবাদ করে অধিক লাভবান হতে পারবেন।
এছাড়াও তিনি মাঝারী উচু জমিতে বিনাধান ১৭ চাষাবাদের উপর জোর দিয়ে বলেন, এ ধান আগাম পাকে, রোগ বালাই ও পোকার আক্রমন কম হয় এবং কৃষকেরা একটু যত্নশীল হলে এর ফলনও ভালো হয়। তাই তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে খাপ খাওয়ানোর লক্ষ্যে বিনাধান ১৭ জাতের ধান চাষ বৃদ্ধির জন্য উপস্থিত সবাইকে আহবান জানান।
পরবর্তীতে প্রদর্শনী প্লটের কৃষক মোছাঃ শাহিদা বেগম জমির কর্তনকৃত ধানের মাড়াইয়ের পরে ফলন পরীক্ষা করা হয়। বিনাধান ১৭ এর ফলন ২০ বঃ মিঃ এ ১৪% আর্দ্রতায় কেজি হিসেবে প্রতি হেক্টরে ৩.৯০ টন পরিমাপ করা হয়।