নিউজ ডেক্সঃ সার বিতরণে উৎকোচ ও অনিয়মের অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষি কর্মকর্তাকে পিটিয়েছে এক কৃষক। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী কর্মকর্তা অনিয়ম ও উৎকোচের বিষয়টি এড়িয়ে শুধু মারপিটের বিচার চেয়ে সংশ্লিস্ট অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন কৃষকের বিরুদ্ধে। এমন পাল্টা পাল্টি অভিযোগ কৃষি কর্মকর্তা ও অভিযুক্ত কৃষকের।
গত রোববার (১১ আগষ্ট) সকালে লাহিড়ী বাজারে বিএডিসি সার ডিলার মেসার্স শাহ ট্রেডার্সের বরাদ্দকৃত আগস্ট মাসের উত্তোলিত সার কৃষকের মাঝে বিতরনের সময় দায়িত্বরত বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আতাউর রহমান নামে এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাথে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর ন্যায় বিচারের স্বার্থে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা। অন্যদিকে নানা কারনে মারপিটের ঘটনা ঘটলেও কৃষকের উপর দায় চাঁপানো এবং নিজের দোষ ঢাকতেই সংশ্লিস্ট অফিসে এ অভিযোগ করেছেন বলে জানান অভিযুক্ত কৃষক কামাল হোসেন।
কৃষি কর্মকর্তার অভিযোগ করে বলেন, আমন আবাদের তুলনায় অনেক বেশি এমওপি (পটাশ) সার চেয়েছিলেন কৃষক কামাল। দিতে রাজি না হওয়ায় সকলের সামনে শার্টের কলার ধরে টানা লাঞ্ছিত এবং মারধর করে ডাইরীসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। সকলের সামনে লাঞ্চিত করা হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ঘটনার দিনই উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবরে কৃষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষক কামাল হোসেন জানান, আমি সার কিনতে সেখানে যায়নি। মুলত বরাদ্দকৃত সার বিতরণ করার কথা ছিল পাড়িয়া ইউনিয়নের কৃষককে। কিন্তু কৃষি অফিসার উৎকোচ নিয়ে চাড়োল ইউনিয়নের কৃষকদেরও সার দিচ্ছিলেন। এটির প্রতিবাদ করতে গেলে কৃষকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আতাউর রহমানের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তাকে মারপিট করা হয়নি এবং কোন কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। এটি সম্পূর্ন মিথ্যা, আমাকে ফাঁসানোর চেস্টা চলছে। প্রকৃত পক্ষে তার দোষ ঢাকতেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে সেদিন কি হয়েছিল। আমিও এর সুষ্ঠ তদন্ত চাই।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় জানান, বিষয়টি ইউএনও স্যার এবং ডিসি স্যারকে অবগত করা হয়েছে। তদন্ত হলেই প্রকৃত বিষয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।