নিউজ ডেস্ক: রোববার শেষ হয়েছে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণির সবচেয়ে বড় আসর জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা। আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিলো তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ। দেশের ভিন্ন চার ভেন্যুতে মাঠে নামতেন জাতীয় ক্রিকেটাররা।
কিন্তু হুট করেই যেন এলেমেলো হয়ে গেল সবকিছু। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর জাতীয় ক্রিকেটাররা। বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে একজোট হয়েছেন সাকিব-তামিম-মুশফিকসহ প্রায় সবাই। দাবি না মানলে সব ধরনের ক্রিকেট বয়কটের হুমকিও দিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দাবিদাওয়া না মানা পর্যন্ত ঘরোয়া থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যন্ত সবধরনের ক্রিকেট বয়কট করছেন খেলোয়াড়রা।
সাকিব বলেন, ‘এই ধর্মঘটে জাতীয় দল, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারসহ সবাই অন্তর্ভূক্ত এবং এটা আজকে থেকেই কার্যকর। জাতীয় লিগ থেকে শুরু করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট বলেন, জাতীয় দলের প্রস্তুতি বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বলেন সবগুলোই এর অন্তর্ভূক্ত। আলোচনা সাপেক্ষেই অবশ্যই সবকিছুর সমাধান হবে। দাবিগুলো যখন মানা হবে তখন আমরা আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাবো।’
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের কথায় স্পষ্ট, অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আসন্ন সব কার্যক্রম। যার মধ্যে সবার আগে রয়েছে ২৪ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া এনসিএলের তৃতীয় রাউন্ড এবং ২৫ অক্টোবর থেকে হতে যাওয়া ভারত সফরের প্রস্তুতি ক্যাম্প।
সাকিব-তামিমদের দাবি-দাওয়া দ্রুততার ভিত্তিতে না মানা হলে, এনসিএলের তৃতীয় রাউন্ড এবং ভারত সফরের প্রস্তুতি ক্যাম্প- কোনোটাই আলোর মুখ দেখবে না।
শুধু তাই নয়, নভেম্বরের শুরুতেই তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুইটি টেস্ট খেলতে ভারত সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেটি এখন অনিশ্চিতই বলা চলে। এমনকি পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলে আগামী ডিসেম্বরে হতে যাওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ- বিপিএলের সপ্তম আসরও হয়তো যথাসময়ে মাঠে গড়াবে না।
তবে সাকিব বলেছেন, যেহেতু অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সামনে বিশ্বকাপ আছে, তাই তাদেরকে এই ধর্মঘটের আওতায় রাখা হচ্ছে না। আর দেশের নারী ক্রিকেটাররাও চাইলে তাদের সঙ্গে ধর্মঘটে যোগ দিতে পারেন।