বুধবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ কমিটি আয়োজিত শোক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জিয়া সহযোগিতা না করলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটত না। তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে হত্যায় সহায়তা করতে পারতেন না। খুনিদের পুরস্কৃত করে বিদেশে পুনর্বাসন করতে পারতেন না।
এসময় তিনি আরও বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন আমি নাকি প্রতিদিনই জিয়াকে আক্রমণ করে কথা বলি। আমাকে এ বিষয়ে কথা বলতেই হবে। কারণ এ বিষয়ের সঙ্গে আমাদের আচ্ছন্ন সম্পর্ক আছে, আন্তঃসম্পর্ক আছে।
১৫ আগস্টের পর ২১ আগস্টের ঘটনা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে রাজনৈতিক দেয়াল তৈরি করে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় তিনি বলেন, বিশ্বাস ঘাতকতা ও সাম্প্রদায়িকতা শুরু হয়েছে জিয়ার আমল থেকে।
সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো তাদের গাত্রদাহের অন্যতম কারণ। বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে যাচ্ছেন সেটি তাদের গায়ের জ্বালা, বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা গোটা বিশ্বকে বদলে দিয়েছে কিন্তু বিএনপি বদলায়নি। তাদের সাম্প্রদায়িকতাও বদলায়নি।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস, আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকা ২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলন। এছাড়া আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরুসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।