করোনার উর্ধগতি নিয়ে আর কোন বিতর্ক বা শংশয় নেই। একটি জরুরী বিষয় বিবেচনায় আনা যেতে পারে। খবরে জেনেছেন , ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল ক্যাপাসিটির বাইরে চলে যাচ্ছে , যা খুবই স্বাভাবিক। ডাক্তার সাহেবরা কেস রেফার্ড করে দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলাফল হাসপাতালে পৌঁছার আগে রোগির মুত্যু। কতটা মর্মান্তিক। প্রথম আলোর ঠাকুরগাও প্রতিনিধি ১ জুলাই এর সচিত্র প্রতিবেদন করেছেন’ “ ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আর এমও) তথ্য দিয়েছেন , হাসপাতালে আইসিইউ , ভেন্টিলেটর না থাকায় প্রতিদিনই গড়ে ৪ জন জটিল করোনা রোগিকে রংপুর বা দিনাজপুরে স্থানান্তর করতে হয়। স্থানান্তর করতে গিয়ে অনেক রোগি পথেই মারা যাচ্ছেন। আইসিইউ চালু এবং এর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ নাদিরুল আজিজ প্রথম আলোকে বলেছেন , বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও এখানে এসে আইসিইউ চালুর সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে অধিদপ্তর গণপুর্ত বিভাগকে আইসিইর জন্য আলাদা ভবন নির্মানে চিঠি দিয়েছে। তবে সেটা চালু হতে সময় লাগবে”। (ভাবুন কত সময় লাগবে, খুবই তড়িৎ গতিতে হলে কমপক্ষে ২ বছর) প্রতিনিধি আরো লিখেছেন ‘লোকবল ও সরঞ্জামের অভাবে রোগিরা চিকিৎসাবঞ্চিত’ । এখন আমাদের করণীয় আমাদেরই নির্ধারণ করতে হবে। আগের জেলা প্রশাসক মহোদয় খুবই মানবিক , এবং ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি বদলী হয়ে এখান থেকে যাবার অনেক সময় পেয়েছিলেন। সে সময়টা কোভিডের নিয়ন্ত্রনের চেয়ে তিনি বিদায় সম্বর্ধণা সংগ্রহে সময় বেশি দিয়েছেন। ডিসি পার্কে তার নাম ফলক লাগানো খুব কঠিন ব্যপার ছিলনা। কিন্তু কোভিড থেকে বাঁচানোর পার্ক আরো বেশি প্রয়োজনীয় ছিল। ফলে অনেক কাজ পেন্ডিং রয়েছে। এই দায়িত্বটা এখন নবাগত ডিসি সাহেব তড়িৎ গতিতে করবেন বলে আমরা আশা করি। এখন যা করনীয় , জেলা প্রশাসক মহোদয় দরকার হলে গণঁচাদা তুলে ৬০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার যোগাড় করুন। উপজেলা গুলোতে ১০০ করে আর জেলা সদরে ২০০ সিলিন্ডার। হাত বাড়ালে অনেক মানবিক ব্যবসায়ী সহায়তায় এগিয়ে আসবেন বলে আমরা বিশ^াস করি। এসব অন কল সরবরাহ করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। একদল লোক থাকবে যারা শতভাগ স্বেচ্ছাসেবক । পুলিশও দারুন ভুমিকা পালন করতে পারবে। যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে তারা অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগানো ও খোলা বুঝবে। এক কথায় সেট করা বুঝবে। পাল্স অক্সিমিটিার এর ব্যবহার জানবে। বিপি মাপতে পারবে, জানবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দিবেন। সেখান থেকে অন কল অক্সিজেন সিলিন্ডার রোগির বাসায় পৌছে লাগিয়ে দিবে। এটার রেজিষ্ট্রার থাকবে। কঠোর মনিটরিং থাকবে। একেবারে আধুনিক নেটওয়ার্ক থাকবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় সিলিন্ডার কোন রোগির বাসায় থাকবেনা। এ বিষয়ে ক্লোজ মনিটরিং এর ব্যবস্থা থাকবে। অন্য রোগিকে সেবা দেওয়ার জন্য সেটা নিয়ে আসতে হবে। মানুষ যেন ভরসা পায় প্রয়োজনে অক্সিজেন পাওয়া যাবে। অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রাপ্তির মোবাইল নং ব্যপক প্রচার করা হবে। সকল চেয়ারম্যান , মেম্বার , কাউন্সিলার , বিশিষ্ট জন , ক্লাব কর্মকর্তা সবার কাছে থাকরে এর জন্য একটা কন্ট্রোল রুম থাকবে। এই সেন্টারে সৌচকার্য , পানীয় জলের ব্যবস্থা করবে পৌরসভা। শহরে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আছে তাদের মধ্যে থেকে বাছাই করে বাহিনী তৈরি করতে হবে এরা বাড়ী থেকে খেয়ে আসবে। অন্যান্য লজিষ্টিক সাপোর্র্ট এমপি , জেলা প্রশাসক , পুলিশ সুপার , পৌরসভা , সিভিল সার্জন , ফায়ার ব্রিগেড সহায়তা দিবেন। তত্বাবধান করবেন জনপ্রতিনিধি , রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ। সরকারি বিভাগের গাড়ীগুলো প্রস্তুত থাকবে সিলিন্ডার আনা নেওয়া করার জন্য। প্রয়োজনে কোন কোন পয়েন্টে ২/৪ টি অটো চার্জারও রেডি রাখা যেতে পারে। মানুষকে আস্থায় নেওয়া জরুরী। আসুন এভাবেই আমরা আমাদের জেলায় কোভিড মোকাবেলায় কাজ করি।