নিউজ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে গোপনে ২৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানোয় অনিয়মের অভিযোগ জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান জামান সেলিমের বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে অনয়িমের অভিযোগ করেন এক সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করে নিলুফার ইয়াসমিন বলেন, আমার স্বামী ডা: মো: আব্দুল্লাহ একজন সরকারি কর্মকর্তা। গত ২০২০ সালের ১৭ জুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পঞ্চগড় জেলা হতে ঠাকুরগাঁও জেলা সহকারি পরিচালক পদে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে আদেশ প্রাপ্ত হোন। সেই আদেশের প্রেক্ষিতে ২৩ জুন সহকারি পরিচালক পদে ঠাকুরগাঁও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে দায়িত্ব গ্রহন করেন।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে ২৪জুন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে.এম কামরুজ্জামান সেলিমের সাথে সাক্ষাৎ করি। তিনি ওই সময় বলেন, বদলীকৃত কর্মকর্তার সন্তানদের ২৩ জুন স্কুল কমিটিসহ রেজুলেশন করে ভর্তি শেষ হয়েছে। তাই আপনি কিছুদিন অপেক্ষা করুন স্কুল কমিটির মিটিং এর মাধ্যমে আপনার সন্তানকে চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি নেওয়া হবে এবং আবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাছে জমার দেওয়ার কথা বলেন।
কিছুদিন পর যোগাযোগ করলে করোনা মহামারীর কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে পরবর্তীতে ভর্তির সময় বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্তও করেন জেলা প্রশাসক।
দীর্ঘ ১ বছর কালক্ষেপনের পর গত ৩ জুন ২০২১ইং তারিখে স্কুল কমিটিকে নিয়ে রেজুলেশন করে এবং গত ১০ জুন অতি গোপনে বদলিকৃত সরকারি কর্মকর্তার সন্তানদের প্রথম অগ্রাধিকার থাকা পরেও আমার সন্তানকে কোন কারন ছাড়াই ভর্তি না নিয়ে জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিম তার পছন্দমত ও নিয়মের তোয়াক্কা না করে বে-আইনি ভাবে ২৭ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করেন। তারপর জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করলে ভর্তির বিষয়টি জানতে চাইলে কোন সদুত্তর না দিয়ে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
ভর্তির বিষয়ে ঠাকুগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, সদ্য আমার এ জেলা থেকে বদলির আদেশ হয়েছে। তাছাড়া ভর্তির বিষয়টি সম্পূর্ন স্কুল কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যদি কোন সরকারি কর্মকর্তার সন্তানের ভর্তির আবেদন বাদ পরে তাহলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে।