নিউজ ডেস্কঃ মানবদেহের রোগ প্রতিরোধে জিংক জাতের ধান ও চাল বাজার সম্প্রসারণে ব্যবসায়ী ও মিলারদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের খোচাবাড়ি এলাকায় দুই ভাই অটো রাইস মিল চত্বরে হারভেষ্টপ্লাস বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এর আয়োজন করে আরডিআরএস বাংলাদেশ।
সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায়, খাদ্য পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা, জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামুন উর রশিদ ও হারভেষ্টপ্লাস এর রুহুল আমিন মন্ডলসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, জিংকের অভাবে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ মাসনদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে, টাক সমস্যা, উচ্চতা কমে যাওয়া ও মাতৃত্বজনিত সমস্যাসহ নিউমোনিয়া দেখা দেয়। তাই জিংক জাতের চালের খাদ্যভাস বাড়ানো তাগিদ দেন তারা। আর সেকারনে জিংক সমৃদ্ধ বিভিন্ন ধান ও চাল বেশি করে বাজারজাতকরণের পরামর্শ প্রদান করেন।
বক্তারা আরো বলেন, মানবদেহে জিংকের প্রয়োজনীয়তা ও বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাতের মাধ্যমে জিংকের প্রাপ্যতা আমাদের শরীরের চাহিদা বিবেচনা করে। প্রতি গ্রাম ব্রি ধান ৭৪ এর চালের মধ্যে ২৪.২ মিঃ গ্রাঃ এবং ও ব্রি- ধান-৮৪ এর চালের মধ্যে ২৭.৬ মিঃ গ্রাম জিংক নামক খনিজ উপাদান আছে যা একজন মানুষের দৈনিক চাহিদার উপর ভিত্তি করে নিধারিত হয়েছে। যা খেলে মানব শরীরের প্রায় ৭০- ৮০ ভাগ পর্যন্ত চাহিদা পুরণ করা সম্ভব। বাংলাদেশে ৫ বছরের কম বয়সের শতকরা ৪৪ ভাগ শিশু এবং ৫৭ ভাগ নারী জিংকের অভাবে ভুগছে। এছাড়ড়া ১৫ হতে ১৯ বছরের শতকরা ৩৬ ভাগ কিশোরী জিংকের অভাবে খাটো হয়। প্রতিদিন একজন মানুষ জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান ৭৪ অথবা ব্রি ধান-৮৪ এর ভাত খেলে অন্যান্য উৎস থেকে আর জিংক সরবরাহ করা তেমন প্রয়োজন হবেনা। তাই বিভিন্ন পর্যায়ের ধান ও চাল ব্যবসায়ী, আড়ৎতার, ব্যবসায়ী সমিতি, মিলারসহ এর সাথে সম্পৃক্ত সকলকে অধিক পরিমান জিংক উপাদান সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৭৪ ও ব্রিধান-৮৪ চালের প্রসারে উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সেই সাথে ব্যবসায়ীদের জিংক সমৃদ্ধ চালের ব্যবসা করতে বিশেষভাবে আহবান করেন। মানবদেহে জিংকের উপকারীতা, বর্তমান করোনা মহামারীতে শরীরের ইমিউনো সিন্টেম উন্নয়নে জিংকের প্রয়োজনীয়তা এবং মাঠ পর্যায়ে জিংক ধান চাষাবাদ পদ্ধতিসহ এর ভবিষ্যত চহিদা ও প্রয়োজনীয়তার উপর বিশোদ আলোচনাও করা হয়। এসময় খাদ্য পরিদর্শক জিংক চালের প্রসারের জন্য সরকারী পর্যায়ে খাদ্য অধিদপ্তরের সম্পৃক্ততা ও এর প্রসারে সর্বাত্তক সহযোগীতার কথা জানান। সেই সাথে ব্যবসায়ী নেতারাও জিংক সমৃদ্ধ চাল সম্মন্ধে আরো বেশী প্রচার ও প্রসারের জন্য উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।