নিউজ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ের জামুন ব্রিকস ফিল্ড নামে ইটভাটার কাচাঁমাল সংগ্রহের জন্য মালিকের সাথে স্থানীয় এক ব্যক্তির। চুক্তিকৃত জমির মাটি খুড়তে গিয়ে বেড়িয়ে আসে একটি বিশাল আকৃতির বিষ্ণু মূর্তি। মুর্তিটি উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় গিয়ে সেচ্ছায় জমা দেন ইটভাটার মালিক আলহাজ্ব হবিবর রহমান চৌধুরী।
হরিপুর উপজেলার আমগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পাভেল তালুকদার জনান, হরিপুর উপজেলার জামুন ব্রিকস ফিল্ড নামের ইটভাটার মালিক হবিবর রহমান ভাটার ইট তৈরির কাঁচামাল হিসেবে মাটি সংগ্রহ করতে স্থানীয় জগেন পালের সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী গত বুধবার সকাল থেকে ভেকু মেশিনের মাধ্যমে ওই ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে মাটি কাটে শ্রমিকরা । সন্ধ্যায় সেখান থেকে মাটি নিয়ে ইটভাটায় আসার পর মাটি সংরক্ষনের সময় একটি পাথর খণ্ড বেরিয়ে আসলে তা দেখতে পায়। শ্রমিকরা ওই পাথর খণ্ডটি ‘মূর্তি’ বলে নিশ্চিত করে বিষয়টি ভাটা মালিককে অবগত করে। পরে ভাটা মালিক বিষয়টি আমাদের অবগত করেন।
পরে জনপ্রতিনিধি, ইটভাটা মালিক ও স্থানীয়দের পরামর্শে বৃহস্পতিবার দুপুরে সেচ্ছায় হরিপুর থানায় গিয়ে মুর্তিটি জমা দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান পাভেল তালুকদার, ইটভাটা মালিক আলহাজ্ব হবিবর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভাটা মালিকের ছেলে জামিল চৌধুরীসহ অনেকে। মূর্তিটি সেচ্ছায় জমা দেয়ায় থানা পুলিশের কর্মকর্তাগন তাদের সাদুবাদ জানান।
এ বিষয়ে জামুন ব্রিকস ফিল্ড ইটভাটার মালিক আলহাজ্ব হবিবর রহমান চৌধুরী জানান, যেহেতু রাতের ঘটনা তাই সকালে ভাটায় গিয়ে মাটির ভেতর থেকে মুর্তিটি বের করে নিশ্চিত হতে সময় লেগেছে। মুর্তিটি সরকারের সম্পতি তাই স্থানীয় চেয়ারম্যানের পারামর্শ নিয়ে নিজ উদ্যোগে সেচ্ছায় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সাথে নিয়ে মুর্তিটি থানায় জমা দেই। মুর্তিটি প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে পেরে আমি অত্যান্ত খুশি।
হরিপুর থানার ওসি আওরঙ্গ জেব জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে পাথরের তৈরি বিষ্ণু মূর্তিটি থানায় জমা দিয়েছেন । মূর্তিটি ৩ ফুট লম্বা, ১৫ ইঞ্চি প্রস্থ আর ওজন ৩০ কেজি।
হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, মূর্তিটি দ্রুতই ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে জমা দেয়া হবে।