• মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ অপরাহ্ন

প্রযুক্তি পণ্যের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ

সাংবাদিকের নাম / ১২৫ জন দেখেছেন
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ সৃজনশীল অর্থনীতি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের স্বার্থে এবং ডিজিটাল বিপ্লব আরও এগিয়ে নিতে ইন্টারনেটকে বিলাসী সেবা হিসেবে না দেখে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মতো মৌলিক জরুরি সেবা হিসেবে গণ্য করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

একই সঙ্গে আগামী অর্থবছরের বাজেটে ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির ওপর ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।

ডিজিটাল পণ্যের গবেষণা ও উন্নয়নের ওপর ২০৩০ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। একইসঙ্গে আগামী অর্থবছরে বাজেটে ওরিক্স বায়োটেককে দেশে প্লাজমা ফ্রাকশনের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্র ও বিশেষায়িত গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেয়ার প্রস্তাবও করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (০২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ‘মেড ইন বাংলাদেশ আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি পলিসি’ নিয়ে ভার্চুয়াল গোল টেবিল সভায় সংযুক্ত হয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে সূচনা বক্তব্যে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

প্রস্তাবনায় আইটি ও আইটিইএস খাতে আগাম কর প্রত্যাহার এবং ২০২৪ সালের করমুক্তি সনদ প্রাপ্তি সুবিধা বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। এছাড়াও এই খাতে কর্পোরেট কর ৩৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে গোলটেবিল বৈঠকে বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক এন এম শফিকুল ইসলাম, ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক লিয়াকত আলী, প্রস্তাবিত ডিজিটাল ডিভাইস ম্যানুফ্যাকচারারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন (ডিডিএমইএ) সভাপতি মাহবুব জামান, চীনের ওরিক্স বায়োটেক হোল্ডিংসের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেডের দেওয়ান শাহরিয়ার, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মোঃ রেজাউল করিম, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, প্রথমবারের মতো ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইস এন্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০২১। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধিকে গুরুত্ব দিয়ে এবারের প্রদর্শনীকে ভার্চুয়ালি সাজানো হয়েছে। শুক্রবার প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৬টি সেমিনার। দর্শনার্থীরা ওয়েবসাইটে বা অ্যাপের মাধ্যমে এসব সেমিনার এবং প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করতে পারছেন। পুরো প্রোগ্রামটি সমন্বয় করছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।


এধরনের আরও সংবাদ