নিউজ ডেস্কঃ ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ভেঙে পড়তে যাওয়া ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি উদ্ধারে ভিয়েনায় আলোচনা নতুন একটি অধ্যায় খুলে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রকে কীভাবে চুক্তিতে ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে বাকি দেশগুলোর সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকে বসেছেন ইরানি প্রতিনিধিরা।
ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার বিষয়ও তাদের আলোচনায় ছিল। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে।
এদিকে পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত উল্টে দিতে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যদিও সামনে কীভাবে তারা এগোবেন, সেই কলাকৌশল নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে একতরফাভাবে সরে আসার ঘোষণা দেন তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর পর ইরানের অর্থনীতিকে চেপে ধরতে নির্বিচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে গেছেন তিনি। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চুক্তির বেশ কিছু বাধ্যবাধকতা স্থগিত করে তেহরান।
মঙ্গলবারের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ছিল না। কারণ যতদিন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে, ততদিন দেশটির সঙ্গে বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইরান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতা যেমন রয়েছে, তেমনি চুক্তির সব পক্ষই আলোচনা শুরু করতে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে।
বুধবার (০৭ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার বৈঠকে রুহানি বলেন, গতকাল নতুন একটি অধ্যায় শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি সততা ও আন্তরিকতা দেখায়, তবে আমরা সবাই তা বলব…। আমি মনে করি, দরকার হলে অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা আলোচনায় বসতে পারব।
এক ঘটনার সংশ্লিষ্ট এক কূটনীতিক বলেন, শুক্রবার ভিয়েনায় আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। বিভিন্ন হোটেলে মার্কিন প্রতিনিধিরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রাখছেন।
রুশ দূত মিখাইল উলইয়ানভ বলেন, ঠিক একই সময়ে চুক্তিটি সক্রিয় করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা শনাক্ত করতে কাজ করছে বিশেষজ্ঞদের দুটি গ্রুপ।
অর্থাৎ নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া ও পরমাণু ইস্যু নিয়ে তারা কাজ করছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, আমরা এটিকে গঠনমূলক ও নিশ্চিতভাবে ভালো পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি।