শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৯

সুদানে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে বিক্ষোভকারী ও সেনাবাহিনীর চুক্তি সই

সুদানের সামরিক জান্তা শাসক ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বেসামরিক নেতাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে এই চুক্তি। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী তিন বছর পর নির্বাচনের আগ পর্যন্ত উভয় পক্ষ চুক্তিতে পাওয়া ক্ষমতা ভোগ করবে।

গত এপ্রিলে একনায়ক ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করে যেসব জেনারেল ক্ষমতায় আসেন তাদের সঙ্গে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের দীর্ঘ ও জটিল আলোচনার পর এই চুক্তি সই হলো। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে দেশটিতে গত কয়েক মাস ধরে চলা সহিংস অচলাবস্থার অবসান হলো।

দুই পক্ষই যৌথ সম্মতিতে ‘রাজনৈতিক ঘোষণাপত্র’ নামে একটি নথি প্রকাশ করেছে। চুক্তিতে কী কী বিষয় থাকবে তা নিয়ে রাতভর আলোচনার পর তারা এই ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করে। ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের সহকারী প্রধান মোহাম্মদ হামাদান দাগালো সেনাবাহিনীর পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তিনি বলেন, ‘এই চুক্তি সুদানের জন্য একটি ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’।

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী বুধবার সকালে হেমেদতি নামে পরিচিত জেনারেল দাগালো বলেন, ‘আমি এই সকালে আপনাদের এমন একটি খবর দিতে পেরে আনন্দিত। সুদানের অসাধারণ জনগণের জন্যই এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলো।’

বিক্ষোভকারীদের একজন শীর্ষ নেতা ইব্রাহিম আল-আমিন নিশ্চিত করেছেন, উভয় পক্ষের সম্মতিতে একটি ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। নতুন একটি সংবিধান প্রণয়নের জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে আগামী শুক্রবার থেকে ফের আলোচনা শুরু হবে।

গার্ডিয়ান বলছে, যৌথ এক ঘোষণাপত্রের বিষয়ে দুই সপ্তাহ আগেই উভয় পক্ষ সম্মতি দিয়েছিল কিন্তু সামরিক জান্তা শাসকরা এই ঘোষণাপতে স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে বিলম্ব করছিল। আলোচনার সময় বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয় গত কয়েক মাসে সামরিক বাহিনী যে মানবাধিকার লঙঘন করেছে তার জন্য তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

গত জুনে দেশটির রাজধানী খারতুমে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ করলে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া হয়। সামরিক বাহিনীর হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত ছাড়াও আরও অনেক মানুষ আহত হয়। েএ ছাড়া ধর্ষণেরও অভিযোগও ওঠে।